করোনা মোকাবিলায় একজোট গোটা দেশের মানুষ। ২১ দিনের লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্প ফলে অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয়েছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন এক বছরের জন্য ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শুধু তাই নয় এর সাথে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালেরাও স্ব-ইচ্ছায় নিজেদের বেতন ৩০ শতাংশ কম করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সাথে সাথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের খরচও আগামী দুবছরের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কম করার। এই বিষয়ে তিনি টুইট করে বলেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রধানমন্ত্রী-সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা তাদের বেতনের ৩০ শতাংশ করে দিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও বেতনের ৩০ শতাংশ ছাড়তে রাজি রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালরাও।আমি আবেদন জানাচ্ছি রাজ্যের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের, তারাও যেন এক বছরের বেতনের ৩০ শতাংশ দিয়ে করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করে।”
এই টুইট করার পর রাজ্যের তরফ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা এখনও জানা যায় নি। তবে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো গত ৩১শে মার্চ কোনো এক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসেবে কোনও বেতন নেন না। শুধু তাই নয় প্রাক্তন সাংসদ হিসেবেও তিনি কোনও পেনশন নেন না।