ধর্ম যে মানুষকে আলাদা করতে পারে না, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন বর্ধমানের এক পরিবার। লকডাউনে আটকে পড়া কাশ্মীরের দুই মুসলিম যুবকের সেহেরি ও ইফতার করালেন ওই হিন্দু পরিবারের সদস্যরা।
ব্যবসার কাজে বর্ধমানে এসছিলেন মঞ্জুর আহমেদ ও ফায়াজ আহমেদ। কাশ্মীরের শ্রীনগরের হজরতবল এলাকার বাসিন্দা তারা। শীতের বিভিন্ন পোশাক বিক্রির জন্য প্রতি বছরই বর্ধমানে এসে থাকেন। ভাড়া থাকেন রাইমণি দাসের বাড়িতেই। যদিও লকডাউনের কারণে ফিরতে পারেননি বাড়ি তবে শনিবার থেকে রমজান মাসের রোজা রাখেন তারা। মসজিদে সম্ভব হয়নি নামাজ পড়া।
তাই রাইমণি দাস নিজের বাড়িতেই তাদের নামাজ পড়ার সমস্ত ব্যবস্থা করেন। ধর্ম যেখানে মানুষকে ক্রমাগত আলাদা করে চলেছে, সেখানে রাইমণি দাস নজির গড়লেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “যদিও ওরা কাশ্মীর থেকে এসেছে তবে আমার কাছে নিজের সন্তানের মতোই। যেহেতু লকডাউনে ওরা কোনো মসজিদে যেতে পারবে না, তাই বাড়িতেই সমস্ত ব্যবস্থা করলাম।”
তবে ওই যুবকেরা ভাবতেই পারেনি এটা সম্ভব হবে। এই ঘটনার পর তারা বলে, “ধর্ম একটি নিজস্ব ব্যাপার। সবার ওপরে মনুষ্যত্ব। রাস্তায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ধর্ম না জেনেই সাহায্য করতে হয়। এটাই হলো মানবিকতার পরিচয়। এই পরিবার যে আমাদের এমন সুযোগ করে দিয়েছে, তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।”