ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলেমানির মৃত্যুর পর আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে চাপানউতোর তুঙ্গে। বিমানহানায় সোলেমানির মৃত্যুর দায় স্বীকার করেনি আমেরিকা, তবে ইরানের স্পষ্ট ঈঙ্গিত আমেরিকার দিকেই। দূতাবাসের নির্দেশে ইরান থেকে সরানো হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। যেকোনো মুহূর্তে মার্কিন সংস্থা বা ব্যক্তির উপর আঘাত হানতে পারে ইরান, এমনটাই আশঙ্কা করছে ইরানে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাস।
এর মাঝে উত্তাপ বাড়িয়েছে ট্রাম্পের মাথার দাম ঘোষণা। সোলেমানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়ে ঘোষণা ট্রাম্পের মাথার দাম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা এনে দিতে পারলে মিলবে ৮ কোটি ডলার। এমনই ঘোষণা করেছেন শেষকৃত্যে মুখ্য ভূমিকা নেওয়া এক ব্যক্তি। সরকার এই ঘোষণাকে মান্যতা না দিলেও ইরানের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এই ঘোষণা সংক্রান্ত ভিডিওটি বারবার সম্প্রচার করে চলেছে।
আরও পড়ুন : শক্তির ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন
রবিবার সোলেমানির শেষকৃত্যে মুখ্য ভূমিকা নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘ইরানের ৮ কোটি জনতা যদি ১ ডলার সরিয়ে রাখি তাহলে ৮ কোটি ডলার হয়। ট্রাম্পের মাথা কেউ এনে দিলে এই টাকাটা পুরষ্কার দিতে পারি।’ সরকারি সংবাদ চ্যানেল ‘মাশাদ’-এ সোলেমানির শেষকৃত্য সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ার সময় একথা ঘোষণা করার পর থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ইরানের তরফে প্রত্যাঘাত করা হলে ছেড়ে কথা বলবে না আমেরিকা, হুমকি ট্রাম্পের। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা।