কলকাতা: দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলায় বাড়ি ফিরে এসেছিল পরিযায়ী শ্রমিকরা। তবে সেই ফিরে আসার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে পড়ে থাকতে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের। অবশেষে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন এবং বাসে করে তারা ঘরে ফেরে। অনেকে আবার বাড়ি ফিরতে গিয়ে মাঝপথেই মৃত্যুকে বরণ করে নেয়। তবে এবার ঘর ছেড়ে কাজে ফেরার পালা। ‘আনলক ফোর’ শুরু হয়েছে। আর ‘আনলক ফোর’ শুরু হতেই একে একে কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
ইতিমধ্যেই হুগলি, ডানকুনি থেকে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বাস ভাড়া করে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে সোনার কাজ করেন। লকডাউন হওয়ার কারণে ঘরে ফিরতে হয়েছিল তাদের, কিন্তু হাতে আর অর্থ নেই ফলে সংসার চালানোর জন্য করোনা মহামারীকে ঝুঁকি করেই যে যার কর্মস্থলে ফিরে চলেছেন। রাজ্যে ফেরার পর অনেক পরিযায়ী শ্রমিক একশো দিনের কাজ পেলেও তা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব নয়। তাই পুরনো কাজে ফিরতে হবে। তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।
বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যে শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত কাজ নেই বলে তারা ভিন রাজ্যে ফিরে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কারণে কেন্দ্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল সেটাও তারা পায়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্টোদিকে, শাসকদলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে রাজ্যে কর্মসংস্থান সবচেয়ে বেশি। তাহলে রাজ্যে কাজ নেই কোথায়, এমন প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার। আসলে ভিন রাজ্যে অনেকে বছরের পর বছর ব্যবসা করে এসেছে। সেখানে তারা দোকান দিয়ে তাদের কর্মজীবন তৈরি করেছে। তাই তারা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে রাজ্য। তবে সে যাই হোক পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরা নিয়ে যেমন রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত ছিল, ঠিক তেমনই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে যাওয়া নিয়েও একইভাবে তরজা চলছে।