করোনা সংক্রমণে নাজেহাল বাংলা, তবে জনসভা বাতিল করতে নারাজ নরেন্দ্র মোদি
সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার জনের
চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ। করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার জনের। করোনার এমন পরিসংখ্যান গতবছরেও ছিল না। গোটা দেশের পাশাপাশি সংক্রমণে জর্জরিত বাংলা। তারমধ্যে আবার বাংলায় চলছে একুশে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি আরো তিন দফা নির্বাচন। তবে নির্বাচনের জন্য রাজ্যে প্রান্তে প্রান্তে যে জনসভা চলছে তা করোনা সংক্রমনের হার আরও বৃদ্ধি করছে।
বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ঘোষণা করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা হচ্ছে কলকাতায়। তাই এবার কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেস কোন বড় জনসভা করবে না। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী গতকাল ঘোষণা করেছেন যে বাংলার করোনা পরিস্থিতি দেখে খুবই শোচনীয় মনে হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমি কোন বাংলা সফর করবো না। এছাড়াও তৃণমূল সুপ্রিমো নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছিল যে বাংলার করোনা পরিস্থিতি বিচার করে শেষ তিন দফা নির্বাচন একদিনে করে নেওয়া হোক। তবে নির্বাচন কমিশন সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেনি।
তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি তাদের কর্মসূচি পরিবর্তন করতে সম্মত হলো না। আগে যেমন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সভা ছিল, তেমনভাবেই হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনে ৪ টি জনসভা করার কথা ছিল। তবে বিজেপি জানিয়েছে যে মোদি ১ দিনে ৪ টি জনসভা করবেন। তবে বিজেপি বাংলা পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে যে জনসভা কোভিড বিধি মেনে হবে। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভার রূপ বদল করে দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব বিধিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।”
এছাড়াও মোদির জনসভায় মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। জনসভার মাঝে স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে যারা খেয়াল রাখবে সবাই মাস্ক পরেছে নাকি। এছাড়া এবারের জনসভায় খেয়াল রাখা হবে যে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে নাকি। প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছি যারা যাবে তাদের শেষ ৪৮ ঘন্টায় কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট করাতে হবে।