শহর এলাকায় অনেক শিশুই প্লে স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনে পড়লেও বেশিরভাগ শিশুই এই সময়কার শিক্ষা পর্ব থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। এবার থেকে তিন বছর বয়সে প্রত্যেক শিশুকেই বাধ্যতামূলক স্কুলে যেতে হবে। রাজ্য সরকারি ভাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হলেও বেশিরভাগ স্কুলেই পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাবে কার্যকর করা হয়নি।
সংসদে বিল পাস হলেই এই নিয়ম কার্যকর হবে গোটা দেশে। যার ফলে স্কুল শিক্ষায় যে সব স্তরবিন্যাস আছে তা অনেকটাই পাল্টে যাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি আইন কার্যকর হলে সব রাজ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ৩ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত স্কুল শিক্ষার স্তরকে বলা হবে মূল বা ফাউন্ডেশনাল। এখানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন : কলকাতায় করোনা ভাইরাস, আক্রান্ত এক রোগীর খোঁজ মিলল
৮ থেকে ১১ বছর পর্যন্ত প্রস্তুতিমূলক বাড়ি স্তর যেখানে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি এই স্তরেরর অন্তর্ভুক্ত। এগারো থেকে চোদ্দবছর পর্যন্ত মধ্য বা মিডল, এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি। ১৪থেকে ১৮ বছর অর্থাৎ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত উচ্চ বা হাই স্তর।
বর্তমান শিক্ষার চারটি স্তর আছে, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক। প্রাক প্রাথমিক বেসরকারি স্তরে চালু হলেও সরকারিভাবে এখনো চালু হয়নি। এই পর্বে মূলত খেলার ছলে শিশুদের সৌজন্য, পরিচ্ছন্নতা, মূল্যবোধ এবং একতা প্রভৃতি শেখানো হবে। এই মুহূর্তে প্রায় পাঁচ কোটি শিশু প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে যা কয়েক বছরে ১০ কোটির বেশি হবে।