খাওয়া -দাওয়াজীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

সুস্বাস্থ্যের জন্য যেসব পুষ্টি প্রতিদিন প্রয়োজন

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, দেবপ্রিয়া সরকার : শরীর ভালো রাখতে সকলেই চায়। আর এর জন্য প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় পুষ্টি। কিন্তু ব্যস্ততম জীবনে কিভাবে সঠিক পুষ্টি পাওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা সেভাবে কারোরই নেই। এই সমস্যার সমাধান দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। পুষ্টিবিদরা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন যে পুষ্টি গুলো একান্তই প্রয়োজন তার একটি তালিকা বানিয়েছেন। জেনে নিন সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত খাদ্য উপাদান গুলি কি কি-

১) ক্যালসিয়াম:- সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো ক্যালসিয়াম যা পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যেতে পারে দুধ, দই, মটরসুটি, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদিতে। ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠন সঠিক রাখতে ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

২) প্রোটিন:- পেশির গঠনে এবং শরীরে শক্তি জোগাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের প্রয়োজন। একজন পূর্ণবয়স্ক স্বাভাবিক মানুষের সুস্থতার জন্য দৈনিক ৪৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত। ডিম, মাংস, ডাল, দইয়ের মধ্যে সেই প্রোটিন পেতে পারেন।

৩) আঁশ:- সুস্বাস্থ্যের জন্য আঁশ জাতীয় খাবার খুবই দরকারি। এটি শরীরে হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি রেখে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা ভাব, গ্যাসের সমস্যা দূর করে থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন ২১ থেকে ২৫ গ্রাম আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি।

৪) পটাশিয়াম:- সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হলো পটাশিয়াম। একটি প্রাপ্তবয়স্ক স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক ৪.৭ গ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন। এই পটাশিয়াম পাওয়া সম্ভব কলা আলু ইত্যাদির মাধ্যমে। পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন ভালো রাখতে উপকারী।

৫) ম্যাগনেসিয়াম:- ম্যাগনেসিয়াম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল যা পেশির কার্যক্রমকে ভালো রেখে শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, শাক, শিমের বীজ ইত্যাদিতে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিত্যদিন ১৯ থেকে ৩০ বছর বয়সের নারীদের ৩১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ও ৩০ বছরে বেশি বয়সের নারীদের ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করা আবশ্যক।

৬) ভিটামিন-এ’:– স্বাস্থ্যকর টিস্যু গঠন, কোষের গঠন ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি সঠিক রাখতে ভিটামিন-এ’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। গাজর, লালশাক, আলু ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত মানের ভিটামিন-এ’।

৭) ভিটামিন-ই’:- শরীরের ক্ষতি কারক ফ্রিরেডিকেল এর সঙ্গে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করতে ও শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা সঠিক রাখতে দৈনিক ১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন-ই’ গ্রহণ করা উচিত। পালংশাক, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি ভিটামিন-ই’ এর ভালো উৎস।

৮) ভিটামিন-সি’:- অন্যান্য উপাদানের মতন ভিটামিন সি’ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। কমলালেবু, মাল্টা, ব্রকলি, জলপাই ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, ত্বক ভালো রাখতে ও শরীর পুনর্গঠনে ভিটামিন-সি’ উপকারী।

৯) ভিটামিন-ডি’:- সূর্যের আলো ভিটামিন-ডি এর ভালো উৎস। এছাড়া টুনা, স্যামন, ম্যাকরেল ইত্যাদি মাছে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়াম গঠনে সাহায্য করে পেশির গঠন ও হাড় মজবুত রাখতে উপকারী।

১০) আয়রন:- সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ১৮ গ্রাম আয়রন প্রয়োজন। কাঁচা কলা, লতি, ডালিম ইত্যাদি আয়রনের ভালো উৎস। আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক রেখে রক্তশূন্যতা ও অবসন্নতার সমস্যা সমাধান করে থাকে।

Related Articles

Back to top button