শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আমরা প্রত্যেকেই জানি পৃথিবীতে ক্রমাগত দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রভাব ওজন স্তরে গিয়ে পড়েছিল। অগ্রগতি, উন্নতি সবকিছুর কুপ্রভাব পড়ে এই প্রাকৃতিক উপাদান গুলির উপর। কিন্তু করোনাভাইরাস এর জন্য গোটা বিশ্ব কার্যত গৃহবন্দী। নেই কলকারখানার ধোঁয়া, যানবাহনের বিষাক্ত ধোঁয়া, এর ইতিবাচক ফল গিয়ে পড়েছে ওজন স্তরে।
ওজোন স্তরের ক্ষত অনেকটা সেরে উঠছে এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাকৃতিক এবং পরিবেশ দূষণ এতটাই কমে গেছে যে ওজোন স্তরের ও তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ওজোন স্তরের ক্ষতের জন্য সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আসে, যা যথেষ্ট ভয়ঙ্কর। কিন্তু দূষণ কমে যাওয়ার ফলে ওজোন স্তর অনেক টা সেরে উঠছে। বৈজ্ঞানিকরা লক্ষ্য করেছেন, পুরো আন্টার্কর্টিকা জুড়ে ওজোন স্তর অনেকটা ভালোর দিকে। যা গোটা বিশ্বের জন্য ভালো।
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক গোটা বিশ্বের মানুষের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে, মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে অনেক দেশেই, কিন্তু প্রত্যেকটি ঘটনারই একটি ইতিবাচক এবং আরেকটি নেতিবাচক দিক থাকে। এতগুলো প্রাণ চলে গেছে নিঃসন্দেহে এটি যথেষ্ট বেদনাদায়ক। কিন্তু করোনাভাইরাস আমাদের দিয়েছে অনেক কিছু। গোটা বিশ্বকে ঘরবন্দি করতে পারায় এক ঝাপটায় কমে গেছে দূষণ। প্রয়োজন ছাড়া গোটা বিশ্ব ঘরবন্দি, কোনোদিনই থাকতাম না আমরা। নিতান্ত নিরুপায় হয়ে আমরা ঘরের মধ্যে আজকে আছি। যার ফলে প্রকৃতি নিঃশ্বাস নিচ্ছে তার মত করে। এতদিন প্রকৃতির দমবন্ধ হয়ে আসছিল, কালো ধোঁয়ায়, আজ প্রকৃতির শ্বাস নিচ্ছে।