নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন যে হিংস্রতার নিদর্শন পাওয়া গেছে তার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার উত্তরপ্রদেশের একটি সভায় বলেন, এই বিষয়ে তাদের একটু ভাবনা চিন্তা করার দরকার ছিল। লখনউ অটল বিহারী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বক্তব্যে বলেন, “যে সমস্ত লোকেরা জনসাধারণের সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং বিক্ষোভের নামে হিংস্রতার পরিচয় দিয়েছে তাদের নিজেদের কাজ সম্পর্কে বিবেচনা করা উচিত ছিল।”
ভাল রাস্তা, পরিবহন ব্যবস্থা আমাদের অধিকার এবং এটি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। শিক্ষা আমাদের যেমন অধিকার তেমনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষা এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা আমাদের কর্তব্য। সুরক্ষিত পরিবেশ আমাদের অধিকার, তবে নাগরিকদেরও পুলিশের কাজের প্রতি সম্মান জানানো কর্তব্য।
আরও পড়ুন : জঘন্য কাছ যোগী পুলিশের, CAA বিরোধী বিক্ষোভে সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
তিনি আরও বলেন, “৩৭০ ধারা এবং রাম মন্দিরের সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ পরিষ্কার করা হয়েছে। ১৩০ কোটি ভারতীয়রা আত্মবিশ্বাসের সাথে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। সংসদে পাস হওয়া এই আইনটির প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৮ জন মারা গেছে। আরও জানা গেছে যে বিক্ষোভকারীরা রাজ্যটির সাতটি জেলায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদের ক্ষতি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে বিক্ষোভ চলাকালীন সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটিকে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তকরণ এবং তাদের উপর জরিমানা করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। যদি তারা টাকা দিতে না পারে তবে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। উত্তর প্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং বলেছেন, বিক্ষোভের ঘটনায় পুলিশ ৮৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ১৩৫ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।