কড়া ভাষায় দ্বিতীয় চিঠি স্বরাষ্ট্রসচীবের, জেলায় জেলায় পাঠানো হোক কেন্দ্রীয় দলকে
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যের অফিসারদের অসহযোগিতার অভিযোগে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচীবের তরফ থেকে আদেশের সুরেই চিঠি পৌঁছল নবান্নে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচীব অজয় ভাল্লা লিখেছেন, ‘দেশে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তার ফলে অনেক ভাবনাচিন্তার পর এই নির্দেশিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র। করোনার বিরুদ্ধে রাজ্যগুলিতে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে তাতে সুপ্রিম কোর্টেও পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও একাধিক রাজ্যে পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধি দল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পরিদর্শন করতে গিয়ে তারা বারবার বাঁধার মুখে পড়ছেন। যার ফলে তাদের কাজের বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি ও কলকাতার জেলা প্রশাসন তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেননি।’ এমন কড়া সুরেই এবার রাজ্যের মুখ্যসচীবকে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচীব অজয় ভাল্লা। এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের মুখ্যসচীব জানান, ‘লোকাল অফিসাররা যতটা সম্ভব সাহায্য করবে, তবে সবসময় উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’
পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এমন চিঠির পরেই রাজ্যের সুর নরম হয়েছে। নাহলে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অবমাননা করা হত। তবে চিঠি রাজ্য মুখ্যসচীবের হাতে আসার আগেই কলকাতা পুলিশ ও কেন্দ্রীয় পরিদর্শকরা যাদবপুর এলাকায় যান। সুতরাং এবার তাঁরা নিজেদের কাজে ফিরেছেন। এদিকে দেশে করোনার আক্রান্ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রাজ্যের চার জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তার মধ্যে হাওড়া, কলকাতা ও পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগণাও রয়েছে।