নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর (Ranjan Gogoi) বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তা মামলা বন্ধ করতে হবে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের (Supreme Court)। আদালতের মতে এই অভিযোগের পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় প্রাক্তন বিচারপতিকে আগেই ক্লিনচিট দিয়েছে আদালত। বিচারপতি গগৈয়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার পিছনে কোনও যড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।
সূপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি এ কে পট্টনায়েকের কমিটি গঠন হয়। কমিটির দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এদিন মামলার রায় দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা কমিটি যে তথ্য আদালতে পেশ করেছে তাতেই ষড়যন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে। রিপোর্টে বলে হয়েছে, আসামের এনআরসি কঠর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন রঞ্জন গগৈ। সেই কারণেই তাঁর উপর এই ষড়যন্ত্র করার হতে পারে বলেই দাবী কমিটির।
রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধের এই অভিযোগের বিষয়ে দিল্লির আইনজীবী উৎসব বেইন্স বলেছিলেন, বিচারপতির ভাবমূর্তী নষ্ট করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। প্রাধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা লড়ার জন্য তাঁকে দেড় কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন আইনজীবী উৎসব বেইন্স। তারপরই এই মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তের জন্য আদালতের কাছে আরজি জানান তিনি।
এরপরই গগৈ-এর বিরুদ্ধে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে কি না খতিয়ে দেখার দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় সিবিআই-এর দুই যুগ্ম অধিকর্তা, দিল্লি পুলিশ প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কর্তাদের। তদন্তে রঞ্জন গগৈর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার প্রমাণ মেলেনি। এদিন আদালত জানায়, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর রিপোর্ট অনুযায়ী “এনআরসি মামলায় বিচারপতি গগৈ গুরুতর কঠোর অবস্থান নিয়েছে্ন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনেকেই অসন্তুষ্ট। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার পিছনে ষড়যন্ত্র থকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।”