গত শনিবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিজেপির সমাবেশ থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, রাজ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা বিজেপি কর্মীর খুনের ঘটনা ও ক্রমাগত বেড়ে চলা হিংসার পরিবেশ এর প্রতিবাদে আগামি কিছু দিনের ভিতরেই নবান্নে অভিযান করতে চলেছে বিজেপি।
মুর্শিদাবাদ এর জিয়াগঞ্জ এলাকায় সক্রিয় আরএসএস কর্মী তথা শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তার অন্তঃসত্বা স্ত্রী এবং তার শিশুপুত্রকে নির্মম ভাবে হত্যার বিচার চেয়ে নবান্ন অভিযান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, ‘হাওড়া – কলকাতা’ এক করে দেব, নবান্নে শাষককে শান্তিতে থাকতে দেব না। বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তার পরিবারের এই খুনের যথাযথ বিচার চাই।
বিরোধী দলনেতা আধীর চৌধুরী আবার এই খুনের ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার কেই দোষারোপ করেছেন, তিনি বলেছেন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ঠিক নেই, পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না।
বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ বলেন খুনের তদন্তের জন্য ব্যারাকপুরের পুলিশ কুকুর গুলোকে কেন ব্যাবহার করা হল না? কি করতে আছে তাহলে কুকুর গুলো। এই কথার রেশ ধরে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন- ‘পুলিশ কাজ করবে কি করে, তারা কালিঘাটের কুকুর হয়ে গেছে। কোন বিজেপি নেতাকে কি জাল কেস দিতে হবে সেই চিন্তা করতে ব্যাস্ত পুলিশ’।
বিজেপি জিয়াগঞ্জ এর এই ঘটনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দকেও জানাবে বলে বলেছে। কারন বিজেপির মতে রাজ্য সংঘ কর্মীদের হত্যার ঘটনা আগে ঘটত না কিন্তু পাল পরিবারের খুনের মাধ্যমে এই রিতি শুরু হল। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে বলে মনে করছে বিজেপি।