শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এরপর থেকে প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া থাকবে না। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। তাই ভোটের আগে প্রচুর শিক্ষক নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার। বিরোধীদের মতে এই নতুন প্রক্রিয়া ভোটের আগে রাজ্যে সরকারের ভোট পাওয়ার নতুন কৌশল।
উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে। ইন্টারভিউতে পরীক্ষকরা পেন্সিলে নম্বর দেয়, এবং তারপর সেটা মুছে নতুন করে নম্বর বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বহু পরীক্ষার্থী আদালতে ও অভিযোগ করেছেন। তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের স্কুলগুলিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : আগামী পয়লা এপ্রিল থেকেই দাম বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের, জানালো ইন্ডিয়ান অয়েল
গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারি নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের কোন ফি দিতে হবে না।এর ফলে বহু পরীক্ষার্থী উপকৃত হবে। এছাড়া কোন পরীক্ষার্থী যদি উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করতে চায় তাহলে সেটা তিন বছরের মধ্যে করতে হবে। আর এই পরীক্ষাতে ইংরেজি ও মাতৃভাষার ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার ফলে কেউ আর অভিযোগ ও করতে পারবে না বলে সরকার মনে করছেন।