গ্রামীণ মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মানোন্নয়ন থেকে অঙ্গনওয়াড়ী ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। প্রসূতি মহিলা থেকে ৩ বছরের কম বয়সী শিশু, স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। খাদ্য তালিকার পরিবর্তন করা হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ীতে।
হাসপাতালে ভর্তি সুনিশ্চিত করতে প্রসূতি মহিলাদের প্রসবকালীন ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এত সবের পরও গ্রামীণ মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তার কারণ, যাদের জন্য এত আয়োজন তারাই জানতে পারছেন না কোথায় গেলে কি সুবিধা মিলবে। সচেতনতার অভাবের কারণে বহু প্রসূতি মহিলা নিয়মিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসছেন না। শিশুরাও অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে আসছে না, মূলত মায়েদের অজ্ঞতার কারণেই। তাই এবার তাদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন : শীতের মরসুমেও বাড়ছে আলুর দাম, কপালে ভাঁজ মধ্যবিত্তের
গ্রামীণ মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে ‘সুস্বাস্থ্য দিবস’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রতিটি পঞ্চায়েতে মেসে একবার করে পালন করা হবে এই ‘সুস্বাস্থ্য দিবস’। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কোন এক জায়গায় শিবির করে আশাকর্মী, নার্স, এএনএম ও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা গ্রামের মহিলাদের সচেতন করার কাজে সামিল হবেন।