লাগাতার চিনে মৃত্যুর পর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে ৮৮ হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ২৮০০ ছাড়িয়েছে। অধিকাংশই চিনের বাসিন্দা। চিনের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ জনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৭১৫ জন। চিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৮,০৬৪।
দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রুত বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, আতঙ্ক বেড়েছে জাপান ও হং কং এও।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ইরানের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারির্চি। চিনের পর এই ভাইরাসে সবথেকে বেশি মৃত্যু এখনও পর্যন্ত ইরানেই হয়েছে। সোমবার মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে, আক্রান্ত কয়েকশো। ইরানের পরই দক্ষিণ কোরিয়া। এখানে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে নভেল করোনাভাইরাসে। হাজারের কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত। ইতালির অবস্থা ক্রমেই গুরুতর হচ্ছে। উত্তর ইতালিতে এই ভাইরাসে মৃত্যুর ঘটনার পর এবার দক্ষিণে ভাইরাস হানা দিল। জনপ্রিয় ক্যানারি দ্বীপের একটি হোটেলে এক মহিলার শরীরে ভাইরাস মিলেছে। গোটা হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত বর্তমানে হাজারেরও বেশি পর্যটক, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য পৃথক কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলের বাইরে পুলিশি প্রহরা বসানো হয়েছে যাতে কোনও পর্যটক পালাতে না পারেন।
আরও পড়ুন : ধ্বংসের পথে গোটা বিশ্ব, ৯ দিন ধরে ২০ শতাংশ বরফ গলেছে আন্টার্কটিকায়
ইউরোপের অন্য দেশগুলি যথা অস্ট্রিয়া এবং ক্রোয়েশিয়াতেও নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক নিয়েও সংশয় করোনা ভাইরাসের কারণে। কমিটির এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না আসলে টোকিয়ো অলিম্পিক ২০২০ বাতিল হতে পারে।