পাকিস্তান হয়ে আসা পঙ্গপালের দাপটে দিশেহারা অবস্থা উত্তর পশ্চিম ভারতের কৃষকদের। ইতিমধ্যে পাঁচটি রাজ্যে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে তারা। ঝাড়খন্ড পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে পঙ্গপালের দল। যার জেরে আশঙ্কা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। পঙ্গপালের আগমনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত বাংলার চাষীরা। সাতাশ বছর পর ফের আসা এই পঙ্গপাল কতটা ক্ষতি করতে পারে এ রাজ্যের ফসলে, বৃহস্পতিবার তা নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন কৃষি দপ্তরের পতঙ্গবিদ এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগের কর্তারা। এই বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা করেছেন রাজ্যের কৃষি আধিকারিকরা।
এরপরই পশ্চিমবঙ্গের কৃষি দপ্তর থেকে জানানো হয় যে, এই মুহূর্তে বাংলায় পঙ্গপালের হানা দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে হানা দিলেও খাদ্যের সঙ্কট দেখা না দিলে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসবে পঙ্গপালের দল। সেক্ষেত্রে বর্ষা নামতে দেরি হলে তবেই বাংলার দিকে আসতে পারে তারা। ফলে এখনই পঙ্গপালের বিষয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বাংলার চাষীদের। তবে, ততদিনে পঙ্গপালের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
দেশ জুড়ে পঙ্গপালের হানার উপর নজরদারি চালায় কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘লোকাস্ট ওয়ার্নিং অর্গানাইজেশন’। তার ডেপুটি ডিরেক্টর (প্ল্যান্ট প্রোটেকশন) কে এল গুর্জর বাংলার এক প্রথম সারির দৈনিক সংবাদপত্রে জানান, ‘এই মুহূর্তে যেভাবে হাওয়া বইছে তাতে পঙ্গপালের পশ্চিমবঙ্গ বা পূর্ব ভারতে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ হাওয়ার অভিমুখ পূর্ব দিকে নয়।’