শ্রেয়া চ্যাটার্জি : এই দ্বীপটি ব্রাজিলে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। আপনি হয়তো চাইবেন এখানে যেতে। কারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনাকে এখানে হয়তো নিয়ে যেতে বাধ্য করবে। কিন্তু এখানকার অধিবাসীরা হলো ভয়ংকর। না তারা কোনো মানুষ নয়, তারা বিষধর সাপ। গোটা দ্বীপটিকে সাপের দ্বীপ বলা হয়। তাই আপনি বেড়াতে গেলে জীবিত হয়ে ফিরবেন না এটুকু নিশ্চিত হয়ে বলা যেতে পারে। দ্বীপটির নাম ‘লা দ্য কুইমাদা গ্রানদে’। এই নাম টি একটু বুঝতে অসুবিধা হলেও ইংরেজি ভাষায় একে ‘স্নেক আইল্যান্ড’ বলে। এখানে একবার যে যায় সে আর ফিরে আসে না। একবার এক জেলে মাছ ধরতে গিয়েছিল মহাসমুদ্রে হারিয়ে যান। তারপর সেই সমুদ্রে দিক হারিয়ে গিয়ে এই দ্বীপে গিয়ে পৌঁছায়। কিন্তু এই দ্বীপ থেকে তার আর জীবন্ত দেহ ফিরে আসেনি। তাই মানুষ এর মধ্যে একটা অজানা ভয় রয়েছে যেখানে গেলে আর ফিরে আসা যাবেনা।
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলো থেকে প্রায় ৯৩ মাইল দূরে এই দ্বীপটির অবস্থান। প্রায় ১১০ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। অনেকদিন আগেই সাগরের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের মূল শহর থেকেই দ্বীপটি আলাদা হয়ে পড়ে। দ্বীপটির পরিবেশ বেশ মনোরম। চারিদিকে গাছপালা রয়েছে প্রচুর এবং পাহাড় ও জলে স্থলে এটি। ভয়ঙ্কর সাপের পাশাপাশি এখানে সুন্দর পাখিরাও থাকে, তবে কোন মানুষ বাস করতে পারে না। মানুষের বসতি নেই বলে এখানে প্রকৃতি তার নিজের নিয়মে নিজেকে তৈরি করেছে।
এখানে রয়েছে বিষধর সাপ, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য গোল্ডেন লেন্সহেড’। এই সাপ গুলি এমনিতেই দেখতে সোনালী বর্ণের তার ওপরে সূর্যের আভা পড়লে আরো চকচক করে, তাই তাদের এইরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এগুলি অসম্ভব বিষধর সাপ। এই দ্বীপে থাকা পাখিরাই মূলত এদের খাবার। তবে এখন এইখানকার সাপের চাহিদা গোটা বিশ্বে রয়েছে। এখানকার সাপ থেকে বিষ নিয়ে নানান রকম ঔষধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গবেষণার কাজে অনেক গবেষকই এখানে যান।