বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে একাংশের মাঝে। ৩০ বছর হয়ে যাওয়ার পরেই প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ও পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়ার অভাবে, দূষণের মতো বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যেতে থাকে। আর সেই বিষয়টি যে একেবারেই সুখকর নয়, সেকথা আর আলাদাভাবে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তবে কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললেই মুক্তি মিলবে এই সমস্যা থেকে। কমবে চুল পড়াও। পাওয়া যাবে ঘন কালো মজবুত চুলও।
১) ডিম- ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বর্তমান। মজবুত চুল পেতে গেলে প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল প্রোটিন। আর সেক্ষেত্রে ডিম অপরিহার্য। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম শরীরের পাশাপাশি উপকার করে চুলেরও। তাকে মজবুত করে গোড়া থেকে। পাশাপাশি ডিমের হেয়ার মাস্কও লাগানো যেতে পারে। এটিও চুলের গোড়াকে প্রোটিন সমৃদ্ধ করে চুল পড়ার সমস্যা দূর করে।
২) খুশকি- ঘন কালো মজবুত চুল পেতে গেলে সবার আগে মেটাতে হবে খুশকির সমস্যা। একটি পাত্রে পরিমাণমতো মুলতানি মাটি, পাতিলেবুর রস, অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সেটি হেয়ার মাস্ক হিসেবে লাগাতে হবে চুলে, যা গোড়া থেকে খুশকির সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৩) ম্যাসাজ- ম্যাসাজ চুল মজবুত রাখার অন্যতম উপায়। অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল দিয়ে যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করা যায় তাহলে তা ঘন কালো মজবুত চুল পেতে সহায়তা করে। ম্যাসাজ চুলের গোড়া মজবুত করার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।
৪) খাওয়া-দাওয়ায় মনোযোগী- চুল পড়া বন্ধ করতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ ডিম খাওয়ার পাশাপাশি পালং শাক, বাদাম, অ্যাভোকাডো, বেরির মতো জিনিস রোজের খাদ্যাভ্যাসে যোগ করতে হবে। এগুলি চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে অনেকটাই সহায়তা করে থাকে।
৫) শ্যাম্পু ও চুল কাটা- রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ শ্যাম্পু যতটা সম্ভব ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। কারণ সেই সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ চুলের গোড়াকে আলগা করে দেয়। পাশাপাশি সময়মতো চুল কাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সময়মত চুল না কাটলে চুল ভেঙে যাওয়ার কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে থাকে।