সামান্য মূলধনেই শুরু করুন এই লাভজনক ব্যবসা, পাবেন দ্বিগুণ টাকা ফেরত
চাকরি এবং ব্যবসার (Business) মধ্যে চিরকালের দ্বৈরথ থাকলেও ইদানিং অনেকেই ঝুঁকছেন ব্যবসার দিকে। কারণ বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি দুই চাকরিই অনিশ্চিত। উপরন্তু দেশে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতাও কম নেই। তাই চাকরির বদলে ব্যবসার দিকেই মন দিচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকে আবার চাকরির সঙ্গে সঙ্গেই চালাচ্ছেন ব্যবসা। এক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার আগে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যাবে কোথায়? এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমনি একটি ব্যবসার যা সহজেই করা যাবে বাড়ি থেকে।
এই প্রতিবেদনে যে ব্যবসার খোঁজ থাকছে সেটি হল রঙিন মাছ চাষের ব্যবসা। এই ব্যবসায় লাভের অঙ্ক বেশ চড়া। উত্তরবঙ্গের গাজলডোবার জনৈক বাসিন্দা এই রঙিন মাছ চাষের ব্যবসা করে পাচ্ছেন প্রচুর পরিমাণে লাভ। এতদিন এই গাজলডোবায় পর্যটক দের পা না পড়লেও এই রঙিন মাছের চাষ দেখতে এখন প্রতিদিন সকাল হতেই গাজলডোবায় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা! মেগা ট্যুরিজম হাবের ধারে থাকা মিলনপল্লী গ্রামকে রঙিন মাছ চাষের আরেকটি হাব বানাতে চান ওই ব্যক্তি।
আপাতত দুটি পুকুর এবং ৬ টি চৌবাচ্চায় চলছে রঙিন মাছ চাষ। ওই ব্যক্তি জানান, এই রঙিন মাছ চাষ লাভজনক ব্যবসা গুলির মধ্যে অন্যতম। সবকিছু শিখে পড়ে হাতে কলমে এই ব্যবসা শুরু করলে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি। তার চাষ করা মাছ এখন রপ্তানি হচ্ছে ডুয়ার্সের মালবাজার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ আশেপাশের আরো এলাকায়।
তিনি আরো বলেন, উত্তরবঙ্গে রঙিন মাছের জোগানের জন্য ভরসা করা হয় কলকাতার উপরে। কিন্তু তার মতে, সরকারি সাহায্য পেলে অনেক মানুষই আসতে পারবেন এই ব্যবসায়। আপাতত রেড কাপ, গোল্ড ফিস, ওরেন্ডা, কবিতো কাপ, মিল্কি কাপ, ভেটকি, শঙ্খিনী মাছের চাষ চলছে। তবে সবথেকে বেশি চাহিদায় রয়েছে গোল্ড ফিশ। ওই ব্যক্তি বলেন, সরকারের থেকে অর্থ সাহায্য পেলে আরো দামী মাছ চাষ করা যায়।