টাকা রোজগার করতে কে না চায়। অর্থ রোজগারের উপায়ও রয়েছে একাধিক। তবে বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি দুই চাকরিই অনিশ্চিত। উপরন্তু দেশে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতাও কম নেই। তাই চাকরির বদলে ব্যবসার (Business) দিকেই মন দিচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকে আবার চাকরির সঙ্গে সঙ্গেই চালাচ্ছেন ব্যবসা। এক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করার আগে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কম খরচে বেশি লাভ পাওয়া যাবে কোথায়? এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমনি একটি ব্যবসার যেখানে কম মূলধনেই হবে বেশি লাভ।
কথা হচ্ছে বাদাম চাষের ব্যবসার ব্যাপারে। এতে উৎপাদন খরচ যেমন কম তেমনি আবার মোটা রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে। কম খরচে তাই বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। বাদুড়িয়ায় বহু কৃষক বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। অন্যান্য ফসলের ব্যবসার বাজারে যখন মন্দা চলছে, তখন বাদাম চাষ করেই লাভের মুখ দেখিয়েছে। আসলে ধান, পাটের মতো ফসলে বীজ বা চারা রোপনের পর থেকেই একটি দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরে কৃষকদের। কিন্তু বাদাম চাষের ক্ষেত্রে এই চিন্তার কারণ নেই।
মূলত দোঁয়াশ মাটিতেই হয় বাদাম চাষ। এই মাটিতে বাদাম চাষ ভালো হয়। তাই বাদুড়িয়া জুড়ে এই বাদাম চাষের লাভের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে রয়েছে আরো লাভ। কারণ এক্ষেত্রে তেমন শ্রম দিতে হয় না। অন্যান্য ফসলে প্রায়ই কীটমাকড় ধরে রোগ বালাই হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু বাদাম চাষের ক্ষেত্রে এই চিন্তাটাও নেই। তেমনি ফসলে রোগ কম হওয়ায় কম কীটনাশক দিলেই হয়। ফলত টাকাও বেঁচে যায় অনেকটা। এক বার ছত্রাক নাশক স্প্রে করলেই ফসল ভালো হয়।
চাষের পর মাটি থেকে বাদাম গাছ তুললেই বাদামের গুচ্ছ দেখা যায়। জানা যাচ্ছে, বাজারে বাদামের ভালো দাম দেখে এবং কম পরিশ্রমে বেশি লাভের কথা চিন্তা করে বহু কৃষকই বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কম পরিশ্রমে, কম খরচেই মোটা টাকার লাভ পাচ্ছেন তারা।














