বর্তমান বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার যেভাবে বাড়ছে তাতে অর্থের চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। যেন তেন প্রকারেণ অর্থ রোজগার করার চেষ্টা করছেন মানুষ। যারা চাকরি করছেন তারা উপরি আয়ের জন্য ব্যবসার (Business) দিকেও ঝুঁকছেন। অনেকেই খুঁজছেন এমন কোনো ব্যবসা যা সহজেই কম মূলধনে শুরু করা যায়। কিন্তু লাভ হয় বেশি। এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমনি এক ব্যবসার যা থেকে আয় হবে মোটা টাকার।
বর্তমানে অনেকেই নানান ফুল চাষের ব্যবসা শুরু করছেন। আয়ও হচ্ছে বেশ ভালো। বিশেষ করে বাজারে যে মরশুমে যে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে সেই ফুলের চাষ করে যদি যোগান বাড়ানো যায় তাহলে লাভও বাড়বে পাল্লা দিয়ে। এই প্রতিবেদনে থাকছে জারবেরা ফুল চাষের ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য। জারবেরা এমন এক ফুল যার বাজারে রয়েছে বড় রকমের চাহিদা। কারণ জারবেরা ফুল বিভিন্ন সাজসজ্জার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। অন্দরসজ্জাতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে জারবেরা ফুল। তাই এই ফুলের চাহিদাও বেশি থাকে।
সারা বছরই এই ফুলের চাহিদা চড়া থাকলেও শীতকালীন এই ফুল গ্রীষ্মে চাষ করা হয় না। জারবেরা ফুল চাষিরা বলেন, শীতকালে ফুলের এই চাষ করা সহজ হয়। কিন্তু সে সময়ে লাভের পরিমাণ থাকে অনেকটাই কম। অন্যদিকে গরমকালে জারবেরা ফুল চাষ করা একটু কষ্টসাধ্য হলেও লাভের অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে যায়। গরমকালে মূলত গ্রিনহাউসের মাধ্যমে এই ফুলের চাষ করা হয়। বাড়াতে হয় জল সেচের পরিমাণ। সেই সঙ্গে ফুলগুলিকে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশকের প্রয়োগ করতে হবে।
জারবেরা ফুল চাষির কথায়, এই গাছে মূলত দুই ধরণের রোগ পোকার আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। তাই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে। এরপর মরে যাওয়া পাতাগুলিকে আলাদা করে দিতে হবে, নাহলে গাছের বৃদ্ধি আর ফুলের মান স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে না। তিনি জানান, শীতকালে এই জারবেরা ফুলের দাম প্রতি পিস ৫-৬ টাকা হলেও গ্রীষ্মকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি পিস ১৫-১৬ টাকায়। তাই গরমকালে এই ফুল চাষ করলে বিশেষ লাভের মুখ দেখতে পাওয়া যায়।