এই কারণে কিডনিতে পাথর হয়, বিষয়টি লক্ষ রাখুন

Advertisement

Advertisement

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সকলকেই বাইরে চলাফেরা করতে হয়। আধুনিক সমাজে কল-কারখানা যানবাহন এত বেশি পরিমানে হয়ে গেছে যে এখন সবকিছুই দূষিত। আমরা যে জল পান করি সেটা যে বিশুদ্ধ তা বলা মুশকিল। শুধু জল ই নয় আমরা যখন শ্বাস-প্রশ্বাস নি তখন আমরা কিছু দূষিত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করায়। আর আমাদের শরীরে যেসব অংশের জীবাণু থাকে এবং আমরা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যেসব দূষিত পদার্থ গুলি গ্রহণ করি সেগুলি রক্তের সাহায্যে বাহিত হয়ে আমাদের কিডনিতে এসে পৌঁছায়। এরপর মূত্র ত্যাগের মাধ্যমে আমরা এই পদার্থ গুলিকে দেহের বাইরে বের করে দিই।

Advertisement

দূষিত পদার্থ গুলি কিডনিতে যে সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্রপথ আছে তার মাধ্যমেই বাইরে বের হয়। কিন্তু ধুলোবালির পরিমাণ যদি অনেকটাই বেশি হয়ে যায় তখন এই সুক্ষ সুক্ষ ছিদ্রপথ গুলিতে সেগুলো জমা হয়ে যায়। এবং ছিদ্রপথ গুলিকে আটকে দেয়। তখনই আমাদের শরীরে নানা জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

জমে থাকা এই ধুলোবালিগুলি ক্যালসিয়াম অক্সালেট এবং ক্যালসিয়াম কার্বনেটে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এবং সেগুলি কিডনির মধ্যেই জমা হতে থাকে। এগুলোকেই পাথর বলা হয়।

Advertisement

ছিদ্রপথ গুলি আটকে যাওয়ার কারণে আমরা যেসব দূষিত পদার্থ গ্রহণ করছি সেগুলো আর বেরোতে পারে না। তখনই এগুলি আরো বড় আকার ধারন করতে থাকে। বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এগুলি আর কখনোই কিডনি থেকে বেরোতে পারে না। এর ফলে আমাদের শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হয়।

সুতরাং এই দূষিত পদার্থ গুলি যাতে আমাদের কিডনিতে জমতে না পারে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।

আর যাতে এগুলি জমতে না পারে তার জন্য বিশুদ্ধ জল পান করুন। দিনে ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করতে হবে। জলকে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তারপর যদি খাওয়া যেতে পারে তাহলে সেটা আরো ভালো।
জল কিডনি থেকে দূষিত পদার্থ গুলিকে বাইরে বের করে দিতে সক্ষম। তাই আমাদের সকলকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করা উচিত।

Recent Posts