LIC Scheme: মাত্র ৪৫ টাকা করে জমিয়ে রিটার্ন ২৫ লক্ষ, দুর্দান্ত প্ল্যান নিয়ে এল LIC
নিজের এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে অর্থ সঞ্চয় করে থাকে মানুষ। যার যেমন সামর্থ্য সেই অনুযায়ী ভবিষ্যত জন্য সঞ্চয় করে রাখেন কমবেশি সকলেই। অনেকে কর্মজীবনে পা রেখেই বিভিন্ন জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ (Investment) করে রাখেন। আবার কেউ কেউ অবসর জীবনে এসেও অর্থ বিনিয়োগ করে থাকেন। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষের কাছেই বিনিয়োগের জন্য সুরক্ষিত এবং ভরসাযোগ্য মাধ্যম হল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন (LIC) বা এলআইসি। বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প চালু রয়েছে এলআইসির, যেগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের পরিষেবা পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ।
এই প্রতিবেদনে এলআইসির যে প্রকল্পটির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে সেটি হল নিউ জীবন আনন্দ প্ল্যান। এটি একটি নন লিঙ্কড, নন পার্টিসিপেটিং, একক জীবন বিমা প্ল্যান। সুরক্ষা এবং সঞ্চয়ের মেলবন্ধনে এই প্ল্যানটি ম্যাচিউরিটির সময় গ্রাহককে সম্পূর্ণ পেআউট এবং জীবনভর কভারেজের নিশ্চয়তা প্রদান করে। একাধিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে এলআইসির এই প্ল্যানটিতে। এই প্ল্যানে দু বার করে বোনাসের সুবিধা পেয়ে থাকেন গ্রাহক। জমা দেওয়া অর্থে রয়েছে ট্যাক্স বেনিফিটও।
রেগুলার প্রিমিয়ামের সুবিধা ছাড়াও এই পলিসিতে লোনের জন্যও আবেদন করতে পারেন গ্রাহক। লাভের অঙ্ক নির্ধারিত হবে বোনাসের সঙ্গেই। ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্ল্যানে বিমা কভারেজের লাভ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এই প্ল্যানটি নেওয়ার জন্য নূন্যতম ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫০ বছর বয়স হতে হবে গ্রাহককে। ম্যাচিউরিটির সর্বোচ্চ সীমা ৭৫ বছর। পলিসি টার্ম হয় ১৫ বছর থেকে ৩৫ বছর।
এলআইসির এই পলিসিতে নূন্যতম বিমাকৃত রাশি ১ লক্ষ টাকা। যদি কোনো ব্যক্তি ৩০ বছর বয়সে এই পলিসির গ্রাহক হন তাহলে, ২৫ বছর পর্যন্ত ২০ লক্ষ টাকা বিমাকৃত রাশির সঙ্গে ২০ বছর পর্যন্ত প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। অর্থাৎ বছরে ২৫০০০ টাকা জমা করলে পলিসি গ্রাহকের মৃত্যুর পর নমিনি ২৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাবেন। ২৫ বছর পলিসি টার্মের পর পাওয়া যায় ম্যাচিউরিটি বেনিফিট। যদি কোনো ব্যক্তি দৈনন্দিন ৪৫ টাকা জমিয়ে ৩৫ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করেন তাহলে ম্যাচিউরিটির সময়ে ২৫ লক্ষ টাকা পাবেন তিনি।