ভারতে মন্দিরের অভাব নেই। ভক্তরা আশীর্বাদ আর ঈশ্বরের দর্শন করতে ভিড় করেন সেই মন্দিরগুলিতে। কখনও মেলে মিষ্টি বা ফল প্রসাদ। খিচুড়ি ভোগ হলে তো অমৃতের মত তৃপ্তি করে খান ভক্তরা। মা লক্ষ্মী যখন মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, সেখানে প্রতিপত্তি-সম্পদ তো থাকবেই।
জানলে অবাক হবেন, এই মন্দিরে গেলে ভক্তদের কোনও ফল-মিষ্টি এসব প্রসাদ নয়, বরং তার জায়গায় দেওয়া হয় সোনার অলংকার, সোনা বা রুপোর কয়েন। হ্যা, মধ্যপ্রদেশের রতলমে মহালক্ষ্মী মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে সোনা দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায় যে, প্রতি বছর ধনতেরস থেকে ভাই ফোঁটার দিন পর্যন্ত, মহালক্ষ্মী মন্দিরে জমা পড়ে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণালঙ্কার, অন্যান্য দামী গহনা ও নগদ টাকা। অর্থাৎ ভক্তরা গহনা দান করেন মা লক্ষ্মীকে। আর এই সমস্ত দান ফোঁটার পরে তা ‘প্রসাদ’ হিসেবে ফেরত নিয়ে যান তাঁরা। সকলের ধারণা, এরকম করলে নাকি তাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হবে।
এই গয়না কোনও ভক্ত ব্যবহারও করেন না। মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ মনে করে আলমারির লকারে রেখে দেওয়া হয় এই গয়না। এই প্রসাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষের ঢল নামে এই মন্দিরে। সূত্রের খবর, এই মন্দির থেকে কোনো গহনায় খোয়া যায়নি। ভক্তরা মনে করেন, সবকিছুই মা লক্ষ্মীর মায়া।