পশ্চিমবঙ্গের হিন্দিভাষী মানুষদের অন্যতম বড় পূজো হচ্ছে ছট পুজো। গতবার এই ছট পুজো ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবরে। তাই এবছর সরকারের উপরে করার নির্দেশ ছিল যেন সুভাষ সরোবর এবং রবীন্দ্র সরোবর ছট পুজোর জন্য একেবারে বন্ধ থাকে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এদিন থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বেঁধে ফেলা হয়েছিল এই দুটি জলাধার কে। পাশাপাশি, এবারের ছট পুজো তে বিশৃঙ্খলা রুখতে সম্পূর্ণরূপে সফল হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
এবারে কেউ আর সুভাষ সরোবর বা রবীন্দ্র সরোবরে দিকে এগোচ্ছেন না। প্রশাসনের ব্যবস্থা করা কৃত্রিম জলাধার ছট পুজো করা হচ্ছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ মেনে সম্পূর্ণরূপে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে এবং নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে সাহায্য করছে প্রশাসন। প্রত্যেকটি জলাধারে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যাতে কোনভাবে সংক্রমনের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায় সেদিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য সরকার।
এবছর পূজোতে পুণ্যার্থীদের ভিড় এড়াতেও সম্পূর্ণরূপে সক্ষম রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশ। সুভাষ সরোবর এবং পন্ডিতিয়া বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে ছট পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রত্যেকবারের মতো এ বছর কোন শোভাযাত্রা দেখা যায়নি। পাশাপাশি, রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। আজ অর্থাৎ শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই দুটি জলাধার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তাই মোটের উপর, ছট পুজো আয়োজনে এবছর রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুলিশ সম্পূর্ণরূপে সফল বলা যেতেই পারে।
গতকাল থেকেই রবীন্দ্র সরোবর কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে রবীন্দ্র সরোবর পুরোপুরি বেঁধে ফেলা হয়েছে। প্রত্যেকটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশেরা সেখানে টহল দিচ্ছেন। সুভাষ সরোবর এর পাশের রাস্তায় কেউ কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সেখানেও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাঁশের ব্যারিকেড করে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুভাষ সরোবর।
জানিয়ে রাখি, গতকাল রবীন্দ্র সরোবরের ৩ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষুব্ধ জনতা বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সমস্ত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে কলকাতা পুলিশ। এবছর ছট পূজোতে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা দেখে সত্যিই আপ্লুত কলকাতার মানুষজন।