জীবনযাপন

বৃহস্পতিবারে করুন লক্ষ্মীপুজো, অভাব হবে না অন্নের

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – হিন্দু দেব-দেবীদের তালিকায় লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদের দেবী। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী। তবে শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মেই নয়, জৈন ধর্মের বিভিন্ন স্মারক গুলোতে ও লক্ষ্মীর ছবি দেখা যায়। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। প্রতি বৃহস্পতিবার প্রতি ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজো হয়। এছাড়া কোজাগরী পূর্ণিমার দিন কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়।

সপ্তাহের এক বিশেষ দিনটিকে লক্ষ্মী বার বলা হয়। এই দিন লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করা হয়। যার মধ্যে থাকে লক্ষ্মী ব্রত কথা। তাই এটি লক্ষ্মী ব্রত কথার থেকেও বৃহস্পতিবারের ব্রতকথা নামে বেশি জনপ্রিয়। তাছাড়াও ১২ মাসের পাঁচালী তেও ও লক্ষ্মীকে নিয়ে নানান রকম লৌকিক গল্প আছে।

বৃহস্পতি বারে লক্ষ্মী পুজো নিয়ে একটি লোকগল্প রয়েছে তা হল –

এক দিন দোল পূর্ণিমার রাতে নারদ বৈকুন্ঠ এ লক্ষ্মী নারায়ণের কাছে গিয়ে অধিবাসীদের নানা দুঃখ-কষ্টের কথা বললেন। মানুষের দুঃখ কষ্টের কারণ হলো তারই কুকর্মের ফল, এমনটাই উত্তর দিলেন লক্ষ্মী। কিন্তু যেহেতু নারদ গিয়ে বলেছেন তাই নারোদের অনুরোধে তিনি মানুষের দুঃখ ঘোচাতে মর্তলোকে লক্ষ্মীব্রত প্রচার করলেন। ধনেশ্বর নামে ধনী বনিক বাস করতেন অবন্তি নগরে। বণিকের মৃত্যু হলে তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিষয়সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। তখন সেই বিধবা পত্নী ঝগড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে বনে আত্মহত্যা করতে এসেছিলেন।

পরে লক্ষ্মী তাকে লক্ষ্মীব্রত করার উপদেশ দেয় এবং তিনি বাড়ি ফিরে এসে তার ছেলের বউ দের লক্ষ্মীব্রত করান। তার সংসারে অশান্তি দূর হয়। তবে এই সময়ে শ্রীনগরের এক যুবক লক্ষ্মী ব্রত কে ব্যঙ্গ করলে, লক্ষ্মী খুবই কুপিত হন। তখন সে সমস্ত ধনসম্পত্তি হারিয়ে অবন্তী নগরে ভিক্ষা করতে আসে। তবে পরে আবার লক্ষ্মীর কাছে ক্ষমা চাইলে, তিনি তার সমস্ত ধনসম্পত্তি ফিরিয়ে দেন। এই ভাবেই লক্ষ্মীব্রত চারিদিকে প্রচলিত হলো।

Related Articles

Back to top button