“টাকা দিয়ে নয়, কাজ দেখে ভোটের টিকিট দেওয়া হবে”, দলীয় নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা মমতার
বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতি সতর্ক পদক্ষেপ ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)
একুশে নির্বাচনের আগে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জনসভা করছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো একদম সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে চান। তাই এবার ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই ৪ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে আসার সময় তৃণমূল শিবির থেকে একের পর এক নেতার দলবদলের হিড়িক যথেষ্ট উদ্বেগে রেখেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। বঙ্গ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের আগে দলবদল নিয়ে রীতিমতো দিশেহারা ঘাসফুল শিবির। তবে এরই মাঝে, আজ অর্থাৎ বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে মুখ্যমন্ত্রী নেতা-মন্ত্রীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের শৃংখলাবদ্ধ হবার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরে শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতা দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলে গেরুয়া শিবিরে গিয়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছে। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল প্রমুখরা। তাই দলের ভাঙ্গন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘাসফুল শিবিরের কোর কমিটির সাথে বৈঠক করেছেন। এবার দলীয় নেতা মন্ত্রীদের টিকিট দেওয়া নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী মমতা। আজকের আলিপুরদুয়ার এর বক্তৃতা থেকে এটা এক প্রকার স্পষ্ট যে ভোটের টিকিট পেতে গেলে টাকার পরিবর্তে কাজ গুরুত্ব পাবে।
আজ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “যারা লোভী, ভোগী তাদের জন্য রাস্তা খোলা আছে। চলে যান দল থেকে। তৃণমূলের টিকিট বিক্রি হয় না। তৃণমূলে থাকতে হলে শৃংখলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে।” এছাড়াও তিনি এদিন নাম না করে সদ্য দলত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তিনি বলেছেন, “বনমন্ত্রীর থাকার সময় বন সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হবে।”
এছাড়াও এদিন আলিপুরদুয়ার থেকে মুখ্যমন্ত্রী গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেছেন, দাঙ্গা করতে করতে বিজেপির গোটা শরীরে পৌঁছে গিয়েছে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, “ভোটের আগে বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোট হলে ওরা পালিয়ে যায়। আর করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। আর এখন দুর্নীতিবাজদের জন্য কিছু ঘন্টার মধ্যে চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।”