Today Trending Newsনিউজপলিটিক্স

যোগীর রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল

Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএএ নিয়ে জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ছবি। ইতিমধ্যেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, নিহতদের সকলেই বিক্ষোভকারী। পুলিশের ছোঁড়া গুলিতেই নাকি এই মৃত্যু। এই ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব বাংলার শাসকদল তৃণমূল। দলের তরফে যোগীর রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সির সই সম্বলিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবারই তাঁদের প্রতিনিধি দল লখনউ পৌঁছবে। নেতৃত্বে থাকবেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। সঙ্গে যাবেন প্রতিমা মণ্ডল, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক। সূত্রের খবর, শনিবারই উত্তরপ্রদেশের পথে রওনা দেবেন তৃণমূলের এই প্রতিনিধিরা। লখনউয়ে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : ‘মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই ওনার’ মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

সিএএ নিয়ে লাগাতার উত্তাল হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ। প্রথমে লখনউ, সেখান থেকে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে কানপুর, প্রয়াগরাজ, ফিরোজাবাদ, হাপুর, মীরাট, বিজনউর, সম্ভলে। এমনকী যে গোরক্ষপুর যোগী আদিত্যনাথের খাসতালুক, সেখানেও বিক্ষোভের আগুন। তিনদিনে আয়ত্বের বাইরে পরিস্থিতি। যোগীর বিতর্কিত মন্তব্য সে বিক্ষোভের আঁচে ঘি ঢালার কাজ করছে। ইতিমধ্যেই ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজ্যবাসী থেকে পর্যবেক্ষক–সকলের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সে রাজ্যের প্রশাসন।

এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেখানে পৌঁছলেও আদৌ তাঁদের যোগী রাজ্যে পা ফেলতে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। এর আগে এনআরসির সময় অসমে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে বহু জলঘোলা হয়। রবিবার তারই পুনরাবৃত্তি হয় কি না সেটাই দেখার।

Related Articles

Back to top button