তৃণমূলের রিপোর্ট কার্ড এর পাল্টা এবারে তৃণমূলের ফেল কার্ড প্রকাশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন সোমবার কলকাতায় দলের হেস্টিংস অফিসে বিজেপি এই ফেল কার্ড প্রকাশ করে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা গুলিকে তুলে ধরেছে। সাংবাদিক বৈঠকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। এখানে উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, শিশির বাজোরিয়া প্রমূখ।
তারা দাবি করেছেন, তৃণমূল সরকার ১০ বছরে কিছুই করেনি। রাজ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন তথ্য এবং পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তারা এই যুক্তি দেখিয়েছেন।এই পরিসংখ্যানে তারা বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম, শিল্প, শিক্ষা, আর্থিক উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক কাজকর্ম, স্বাস্থ্য।
আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিজেপি দাবি করেছে তৃণমূল রাজ্যের আর্থিক উন্নতি নিয়ে সবসময় ভুল তথ্য দিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল দাবি করেছিল, বাংলায় প্রতি মানুষের গড় আয় আগের থেকে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু বিজেপির দাবি, এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য এবং এই তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূল তাদের খারাপ কাজ ঢাকতে ভুল তথ্য পেশ করেছে।
রাজেশ শিল্প বিনিয়োগ নিয়ে বিজেপি তোপ দেগে বলেছে, রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল। ২০১২ সালে রাজ্যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল দেশের এক শতাংশ। ২০২০ সালেও পরিস্থিতি সেই একই।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কড়া আক্রমণ করেছে বিজেপি। সেখানে তারা ২০১৮ সালের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো তথ্য তুলে ধরেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে খুন হওয়ার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে চতুর্থ। তৃণমূলের ভোট ব্যাংক বাঁচানোর জন্য জঙ্গি সংগঠন বেড়ে উঠছে। একইসঙ্গে মাওবাদী সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিজেপির দাবি, রাজ্যের ৯০ শতাংশ সরকারি পরিচালিত স্কুলে ন্যূনতম পরিকাঠামো অবধি নেই। সেখানে চেয়ার-টেবিল নেই। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও অবস্থা সেই একই।
কৃষকদের অবস্থা নিয়ে বিজেপির দাবি, মহাজনী ব্যবস্থা না থাকলেও তৃণমূল সেই একই কাজ করছে। তাদের মধ্যস্বত্বভোগীরা মহাজনী ব্যবস্থা মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনা সুবিধা কোন কৃষক পাচ্ছেন না। আর এর জন্য রাজ্য সরকার সম্পূর্ণরূপে দায়ী।