নিউজপলিটিক্সরাজ্য

“বিজেপির অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করছে তৃণমূল”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

"মানুষ আপনাদের সাথে থাকলে পুর নির্বাচন কেন করছেন না?" তৃণমূল সুপ্রিমোকে (Mamata Banerjee) কে প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) 

Advertisement

বোলপুরের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এর তোলা বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিতে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের স্বভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করলেন বাংলার পদ্ম শিবিরের সভাপতি। তৃণমূল তাদের অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করছে বলে এইদিন দাবি করেন দিলীপ।

এইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন,”ওরা লক্ষ ও হাজারের মধ্যে পার্থক্য বোঝেনা। আমরা ব্যারাকপুরেও সভা করেছি। সেখানে জমায়েত করেছিলেন লক্ষ মানুষ। আমরা অ্যাজেন্ডা তৈরি করে চলেছি। আর ওরা আমাদের সেই অ্যাজেন্ডা অনুসরণ করছে।” সম্প্রতি বাংলায় দুই দিনের জন্য এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে এসে তিনি মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন একজন আদিবাসীর বাড়িতে। সেই বিষয়কে নিয়ে বোলপুরের সভায় গভীর সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিষয়কে তুলে ধরে এইদিন দিলীপ বলেন,”তার দুঃখ যে তাকে কেউ খেতে ডাকেনা। তিনি বাঁকুড়ায় ছিলেন দুই দিন। ভেবেছিলেন খাবার নিমন্ত্রণ পাবেন। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেনি তাকে। বউ চুরির নতুন ট্রেন্ড যদি ওদের বাড়িতেও দেখা যায়, তাই তৃণমূলকে লোকজন বাড়িতে খেতে ডাকেনা।”

এখানেই থামেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন,”মানুষ বিজেপির সাথে নেই।” সেই বিষয়কে লক্ষ্য করে এইদিন তুলোধোনা করতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। তার বক্তব্য,” মানুষ বিজেপির পাশেই আছে। লক্ষ লক্ষ যুবক বিজেপিতে এসেছেন। এতেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই জন্যই নন্দীগ্রামের সভা বাতিল করে দিয়েছে। আমরা সভা করবো সেখানে। আপনার ক্ষমতা থাকলে আমাদের সাথে লড়াই করুন। সেখানেই বোঝা যাবে সমাজ কাদের সাথে রয়েছে।” এর সাথেই দিলীপ এইদিন প্রশ্ন তুলেছেন,”কেন আপনি কৃষক সভার আয়োজন করছেন না? কেন দিল্লি যাচ্ছেন না ছবি তুলতে?”

পুর নির্বাচনের ইস্যুতেও এইদিন মমতার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন দিলীপ ঘোষ। তার প্রশ্ন,”যদি মানুষ আপনাদের সাথেই থেকে থাকে তবে কেন নির্বাচন করছেন না? পুর নির্বাচন করুন। আসলে উনি ভয় পেয়েছেন। কেউই ওদের সাথে নেই।” এর সাথে এই দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ তুলেছেন,”সারা ভারতের কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কেবল বাংলার কৃষকরাই বঞ্চিত আপনার কারণে।”

Related Articles

Back to top button