আবারো দলের বিরুদ্ধে বেসুরো হলেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ে বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। দলের বিরুদ্ধেবেসুরো হবার সঙ্গে সঙ্গে তার উপর লাগাম টানার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার সাথে দুই দফা আলোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আলোচনার ফল কি রকম হয়েছে তা এখনও না বোঝা গেলেও, এখনো দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে এতটুকুও ভয় পাচ্ছেন না কিন্তু রাজিব ব্যানার্জি। রবিবার তিনি এই বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিলেন।
রবিবার ডোমজুড়ের একটি সভা থেকে তিনি মন্তব্য করলেন,’ তৃণমূল কর্মীদের স্রেফ সময়মতো নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে শীর্ষ নেতৃত্ব। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে যে নেতারা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছেন তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম। আগামী দিনে আপনারা এই কর্মীদের দ্বারা কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছেন।”
ডোমজুড়ের রক্তদান শিবিরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজিব ব্যানার্জি। সেখানেই তিনি সরাসরি একদল তৃণমূল নেতাকে টার্গেট করে মন্তব্য করতে শুরু করেন। ওই সভা মঞ্চ থেকে রাজিব ব্যানার্জি আরো বলেন,” কোন কোন তৃণমূল নেতা আছে যারা তৃণমূল কর্মীদের নাম করে শুধুমাত্র নিজেদের কাজে ব্যবহার করেন। কর্মীরা তাদের কাছে গেলে তারা তাদের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। আমার এক এক সময় দেখে অত্যন্ত খারাপ লাগে। আমি যখন দেখি নেতারা শুধুমাত্র কর্মীদের মনে করে নিজেদের চাকর-বাকর, তখন আমার নিজের খারাপ লাগে। নেতাদের মোটরসাইকেল করে এখানে ওখানে পৌঁছে দেওয়া সমস্ত কাজ করানো হয় তৃণমূল কর্মীদের মাধ্যমে। আমি তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, সতর্ক হোন। ভাববেন না যে তৃণমূল কর্মীরা সকলে বোকা। কিছু বোঝেনা।” আক্রমণ আরো বাড়িয়ে রাজিব ব্যানার্জি বললেন,” মনে রাখবেন, মানুষকে সাময়িকভাবে বোকা বানানো যায়। চিরকাল কিন্তু কাউকে বোকা বানানো সম্ভব নয়।’
রাজিব ব্যানার্জি আরো বললেন,” আজ আমি যা হয়েছি, তা সম্পূর্ণ আপনাদের ভালোবাসায়। ডোমজুড় বাসির সমর্থনে। যতদিন রাজনীতি করবো, আমি বলে যাচ্ছি, নিজেকে ঠকাবো কিন্তু আপনাদের কাউকে ঠকাবোনা।” তবে রাজিব ব্যানার্জির এইরকম মন্তব্যের পরে বেশ কিছুটা চাপে পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতাদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তার মানভঞ্জন করে কোন লাভ নেই। তিনি কোন সতর্কবার্তাকে পরোয়া করেন না।