ফিরিয়ে নেওয়া হবে তৃণমূলে? কি আছে দলবদলুদের ভাগ্যে?
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর এখনই এই সমস্ত নেতাদের ফেরাতে নারাজ তারা, বরং তারা এখন প্রধান ফোকাস করেছেন দলের সমস্ত সংগঠন একেবারে ঢেলে সাজানোর ওপরেই
দলের মধ্যে দমবন্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের জন্য কাজ করতে পারছেন না বলে অনেক নেতাই ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখানোর পরেই নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের সম্মুখীন হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে আপাতত বিজেপির পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসার আশা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাই ভোট মিটতে না মিটতেই আবার বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ। সোনালী গুহ থেকে শুরু করে দিপেন্দু বিশ্বাস, বিজেপি ছেড়ে এবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন অনেকেই। কিন্তু, তৃণমূল কি তাদের ফেরাবে? কি রয়েছে দলবদলুদের ভাগ্যে?
সূত্রের খবর, এখনই তৃণমূল কংগ্রেস দলবদলকারি নেতাদের ফেরাতে নারাজ। বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠক হতে চলেছে আজকে। এই সাংগঠনিক বৈঠকে এই দলবদলুদের নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে আরো অনেকে। সর্বসম্মতিতে এবং সকলের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তবে, দলের অভ্যন্তরের অনেক কর্মী এবং দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে এই দলবদলু নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। তারা বলছেন ভোটের আগে শুধুমাত্র যে এই নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তা নয়, বরং তারা রীতিমতো তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন। তাই যে সমস্ত কর্মীরা মন প্রাণ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস করেন তাদের কাছে এই সমস্ত নেতাদের ফিরিয়ে নেওয়া একটা ভুল বার্তা দিতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়।
সৌগত বলেছিলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য এই সমস্ত নেতাদের ফেরাতে পারবেনা তৃণমূল কংগ্রেস। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক একই ভাবনা রাখবেন রাখবেন আজকের সাংগঠনিক বৈঠকে। তার সাথেই সূত্রের খবর আজকে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে বড় দায়িত্ব যেতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তৃণমূলের বড় সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তার সঙ্গে এবারে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি আরোপ হতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেক নেতার জন্য। ফলে দায়িত্ব খোয়াতে পারেন তৃণমূলের উচ্চপদস্থ অনেক নেতা। তবে এই সমস্ত পদক্ষেপ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বর্তমানে মূল লক্ষ্য হলো পৌরসভা নির্বাচনের আগে একেবারে নিচু স্তর থেকে শুরু করে দলের উপরমহল পর্যন্ত সম্পূর্ণ সংগঠনকে একেবারে ঢেলে সাজানো।