সারা দেশ যখন হাথরস কান্ড নিয়ে প্রতিবাদে সরব হচ্ছে, তখন আরো একবার নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পথে নামেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা। বেশ কিছু দিন ধরেই সারা দেশের মানুষ প্রতিবাদের আগুন জ্বালাচ্ছে।
হাথরস নিয়ে প্রতিদিনই উঠে আসছে নানা তথ্য, দু দিন আগেই চার অভিযুক্ত ধর্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে। তাঁদের মতে ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণী। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।
অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। অন্য দিকে পরিবার বলছে গণধর্ষণ করে খুন হয়েছে ওই তরুণীর।
গত শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পীড়িতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সিট হাথরসে পৌঁছয়৷ কিন্তু নির্যাতিতার বাবার স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক নেই৷ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হয়ে যাচ্ছে। এর আগে প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেসের দলীয় নেতারা। আজ হাজরা মোড় থেকে এক্সাইড মোড় পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীবৃন্দরা মিছিলে হাটেন। প্রত্যেকের গলাতেই ঝোলানো ছিল প্ল্যাকার্ড যেখানে লেখা ছিল, ‘আমার দলিত মেয়েকে ফিরিয়ে দাও।’ এদিন মিছিল থেকে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।