দল করতে আসেনি, ও এসেছিল তৃণমূল ভাঙিয়ে ব্যবসা করতে। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের(Arindam Bhattacharjee) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন শাসক দলের নদিয়া জেলা কো-অর্ডিনেটর দীপক কুমার বসু। স্পষ্টতইও জানিয়ে দিলেন,”অরিন্দম ভট্টাচার্য আমাদের দলের বিধায়ক ছিলেন না। অন্যদ দল থেকে জিতে আমাদের দলে কেবল আশ্রয় নিয়েছিলেন।”
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিট জিতে পরে যোগ দিয়েছিলেন শাসক দলে। তবে খাতায়-কলমে এখনও তিনি কংগ্রেসেরই বিধায়ক। আবার দল বদল করলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য। দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীইয়ের উপস্থিতিতে এইবার বিজেপিতে যোগ দিলেন অরিন্দম। কেন? সদ্য দলত্যাগী এই বিধায়কের দাবি,”আমাকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কাজ করতে চাইলেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে হাত-পা। রাজনীতিতে এসে পদের লোভ করিনি।” তার আহ্বান,”বাংলাকে স্বাবমম্বী করতে বিজেপির হাত ধরুন।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগের কিছু মাস ধরেই অরিন্দমের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করা নিয়ে জল্পনা চলছিল। আগের নভেম্বর যখন শান্তিপুরে রাস উৎ সবে যোগ দিতে যান রাজ্যপাল, তখন তার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিধায়ক। এরপরও তার গাড়িতে ভাঙচুরও করা হয়। অভিযোগ উঠেছিল শাসক শিবিরে তার বিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর শান্তিপুর থানার সামনে ধর্নাতেও বসেছিলেন অরিন্দম। এদিন তৃণমূলের নদিয়া জেলা কো-অর্ডিনেটর অনুপ কুমার বসু বলেন, “শান্তিপুরে দলের একটা সুসঙ্ঘবদ্ধ অবস্থা ছিল, ও (অরিন্দম ভট্টাচার্য) নষ্ট করে দিয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করেছিল। স্থানীয় কর্মীরা চাইছিলেন, অরিন্দমের মতো মানুষ যে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সংস্রব না রাখেন। দলের তরফেও একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল।”
সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, শুরুর দিন থেকেই শাসক শিবিরে অজয় দে এবং তার অনুগামীদের সাথে তেমন বনিবনা হয়নি বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের। আগের বছর শান্তিপুরে খুন হন শান্তনু মাহাতো নামের একজন তৃণমূল কর্মী। সেই ঘটনায় বিধায়কের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছিলেন দলের তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা। তবে এসবের মাঝেই তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক।