বাংলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংখ্যা কমে গেছে তাই দ্রুত উপনির্বাচন করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে দাবি করেছে পাঁচ সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দল। উৎসবের মৌসুমের আগেই বাংলার বকেয়া নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে আজকে সকালেই বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে মতামত পাঠানো হয়েছিল, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নেই, লোকাল ট্রেন বন্ধ, তাই এখনই যাতে নির্বাচন না নেওয়া হয়।
গত ১৫ জুলাই দিল্লিতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে তৃণমূল প্রতিনিধিরা। ৬ আগস্ট কলকাতা স্থিত অফিসে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং আরো অনেকে। বৃহস্পতিবার আবার দিল্লি গিয়ে ৫ সাংসদের দল নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি করেছিল, তাদের কাজ ভোট করানো বরং বাধা দেওয়া নয়। দরকারে দুই দফায় ভোট নিন কিন্তু পুজোর আগে ভোট শেষ করুন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মাত্র কয়েকটি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। তাই আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে অবশ্যই নির্বাচনে জিতে আসতে হবে, না হলে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এরকম পরিস্থিতিতে তৃণমূলের কাছে একটা আলাদা সমস্যা হলো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জিতে আসা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, বাংলায় বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ একেবারে নিম্নগামী। আমরা এই ৭ কেন্দ্রের করোনাভাইরাস পরিসংখ্যান দিয়েছি। সেখানে যা দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ সেই সমস্ত জায়গায় অত্যন্ত কম। এই জন্য আমরা বলেছি যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটগ্রহণ করা হোক।
ভারতীয় জনতা পার্টি কোনভাবেই চাইছে না যাতে নির্বাচন হয়। ৮ দফা কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি। দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রেখেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচন করা ঠিক নয়। তার প্রসঙ্গে সৌগত রায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন প্রতি মাসে ৭ কেন্দ্রের জেলাগুলির সংক্রমনের রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে। ভারতীয় জনতা পার্টির দাবি সম্পূর্ণরূপে অবাস্তব। যদি উপ নির্বাচন করা হয় তাহলে তারা সব জায়গাতে হেরে যাবে। এই কারণেই হারের কলঙ্ক করা যাতে গায় না মাখতে হয় তার জন্য নির্বাচন নিতে চাইছে না বিজেপি।