একুশে নির্বাচনের আগে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরমে উঠেছে। এরইমধ্যে কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করায় একপ্রকার ভাবে দৈনন্দিন বাকবিতণ্ডা হচ্ছে শুভেন্দু শাসকদলের মধ্যে। তারপর আজ ৭ জানুয়ারি বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু তৃণমূলের দ্বন্দ্বের তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস সৃষ্টি হল। কিছুদিন আগে থাকতেই শাসকদল হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে ৭ জানুয়ারিতে নন্দীগ্রাম দিবসে শহীদ বেদী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শত বাধা সত্ত্বেও ঘটনার পুর ভোলবদলে দিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সমস্ত হুঁশিয়ারিকে অগ্রাহ্য করে শত বাধা পেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী গতকাল রাত ১২ টার পর নন্দীগ্রামের শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারপর আজ সকাল ৮ টা নাগাদ তিনি নেতাইতে পৌঁছান। সেখানে তার সাথে উপস্থিত ছিল বিজেপির সভাপতির সুখময় শতপথী, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ এবং অসংখ্য গেরুয়া শিবির কর্মীরা। সেখানে তিনি শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। সেইসাথে শহীদ এবং আহত পরিবারের সদস্যদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। তাদের পরিবারের আর্থিক সাহায্য করার দাবি করেন তিনি।
কিন্তু তারপরই আজ শাসক দল শুভেন্দুর যাওয়ার পর সেই শহীদ বেদীর শুদ্ধিকরণ করে। শুভেন্দু অধিকারী যেই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেছিলেন সেই শহীদ বেদীকে গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলে শাসকদল কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত থাকেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা যথা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্র। বিডি শুদ্ধিকরণ এরপর তাতে মাল্যদান করা হয়। সেখানে মদন মিত্র বলেন, “নেতাই থেকেই পেটায় শুরু হবে।”
অন্যদিকে আজ সকালে শুভেন্দু শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তিনি গ্রামবাসীদের সমস্ত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। ফেরার পথে তিনি শহীদ বেদী থেকে “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি তোলেন। অবশ্য এর সমালোচনা করেছেন শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি দারকনাথ পান্ডে। তিনি বলেছেন, “শহীদ বেদীর উপর রাজনৈতিক রঙ না লাগা ভাল। দলীয় শ্লোগান শহীদ দিবসে এসে দেওয়া ঠিক হয়নি। শুভেন্দু যে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আসবে তা আগে থাকতে বলে দেওয়া হয়নি। এমন কথাবার্তা না বললেই মনে হয় ভালো হয়।”