নয়াদিল্লি: আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা দেশে শুরু হতে চলেছে করোনার টিকাকরণ (Corona Vaccine)। তার আগে আজ, শুক্রবার (Friday) সবথেকে বড় রিহার্সাল হতে চলেছে। জানা গেছে, আজ দেশের ৭৩৬টি জেলায় একসঙ্গে ড্রাই রান (Dry Run) চালানো হবে। কীভাবে এই টিকা লাগানো হবে, তার পুরো প্রক্রিয়া প্রস্তুত করা হবে।
ইতিপূর্বে গত ২৮ এবং ২৯ ডিসেম্বর দেশের চারটি রাজ্যে দু’দিন ধরে ড্রাই রান চালানো হয়েছিল। এরপর গত ২ জানুয়ারি দেশের প্রত্যেকটি রাজ্যে এই ড্রাই রান চালানো হয়। এবার দেশের ৩৩টি রাজ্য (হরিয়ানা, হিমাচল এবং অরুণাচল বাদ দিয়ে) এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আরও একবার ড্রাই রান শুরু করা হবে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, গুজরাত, পঞ্জাব, অসম এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ড্রাই রান চালানোর পর যথেষ্ট ভালো ফলাফল আমরা দেখতে পেয়েছি। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশে ড্রাই রান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশে ড্রাই রান চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
এর আগে অবশ্য গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন প্রত্যেকটি রাজ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের সঙ্গে একটি সমীক্ষা বৈঠক করেন। এই বৈঠকে প্রত্যেকটি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আধিকারিকদের হর্ষবর্ধন জানান যে এই ভ্যাকসিন নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে গোটা দেশে, তা নিয়ে তিনি যথেষ্ট চিন্তিত। এতে টিকাকরণের কাজ ব্যাহত হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেছেন।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই গোটা দেশে শুরু হতে পারে টিকাকরণের প্রক্রিয়া। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে করোনা ভ্যাকসিনের মঞ্জুরি পাওয়ার পরে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই টিকাকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে আপাতকালীন ব্যবহারের গন্য গত ৩ জানুয়ারি (রবিবার) DCGI-এর পক্ষ থেকে এই ভ্যাকসিনকে সিলমোহর দেওয়া হয়েছিল। সেটা মাথায় রেখেই আশা করা হচ্ছে, আগামী ১৩ কিংবা ১৪ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে করোনা ভ্যাক্সিনেশনের কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতের করোনার দুটো ভ্যাকসিনকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্য়াক্সিনকে আপাতকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকার সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেই গোটা দেশ এবার টিকাকরণের জন্য় অপেক্ষা করছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে, এই ড্রাই রান চলাকালীন হাসপাতালে যেতে হবে। স্থানীয় লোকজনকে ডাকতে হবে। সেখানেই ডোজ় দেওয়ার গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সবথেকে বড় কথা, এই ভ্যাকসিনের স্টোরেজ, বিতরণ এবং টিকাকরণের প্রস্তুতি পরখ করে নেওয়া হয়। কোনও শহরের বড় হাসাপাতাল কিংবা অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই ড্রাই রান চালানো হচ্ছে।