Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

বাড়বে অ্যান্টিবডির আয়ু, আজ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ

Updated :  Saturday, February 13, 2021 1:30 PM

নয়াদিল্লি: প্রথমবার কোভিড ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিলে নিতেই হবে দ্বিতীয়বার, প্রতিষেধক নিলে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি (Antibody) তৈরি হচ্ছে, তা সর্বাধিক আট মাস পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কীভাবে প্রতিষেধকের কার্যকারিতার অর্থাৎ অ্যন্টিবডির মেয়াদ আরও বাড়ানো যায়, সেই গবেষণায় এখন মন দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

দেশে প্রথম কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে গত ১৬ জানুয়ারি। এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৭৫ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ় নিয়েছেন। প্রথম দিন যাঁরা প্রতিষেধক নিয়েছিলেন, আজ শনিবার দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতে হবে তাঁদের, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।

দিল্লি এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া সাধারণ মানুষের কোভিড ও প্রতিষেধক সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে টুইটারে হ্যাশ ট্যাগ ভ্যাকসিন বার্তা নামে ওই প্রশ্নোত্তর পর্ব করেন। তাতে তিনি দেখেন মানুষের সব থেকে বেশি জানার আগ্রহ ছিল প্রতিষেধক নেওয়া ও তার কার্যকারিতার নানা দিক নিয়ে। ওই প্রশ্নোত্তর পর্বের সময়েই তিনি জানান যারা প্রথমবার প্রতিষেধক নিচ্ছেন, তাদের অবশ্যই তার দ্বিতীয় ডোজ়টি নিতেই হবে। নয়তো শরীরে প্রতিষেধক কার্যকর হবে না। প্রথম প্রতিষেধকের ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় প্রতিষেধক দেওয়া হয়। সেই দ্বিতীয় প্রতিষেধক নেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় শরীরে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হবে। ওই অ্যান্টিবডি শরীরে অন্তত আট মাস সক্রিয় থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করবে।

ইতিমধ্যে দেশে প্রথম পর্যায়ের টীকাকরণের কাজ চলছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টীকাকরণ চলছে দেশে। মার্চ মাস থেকে প্রবীণ ব্যক্তিদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। বয়স্কদের পাশাপাশি কুড়ি থেকে পঞ্চাশ বছরের মধ্যে যে ব্যক্তিরা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাদেরও টিকাকরণ শুরু হবে আগামী মাস থেকেই। তবে বয়স্ক নীরোগ ব্যক্তিদের জায়গায় যাদের কম বয়স অথচ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তাদেরকেই টীকাকরণের ক্ষেত্রে আগে মান্যতা দেওয়া হবে। যেহেতু বর্তমানে হু এর রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম, সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।