শ্রেয়া চ্যাটার্জি : আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। এই দিবসটি উদযাপনের পৌঁছাতে রয়েছে একটি গভীর ইতিহাস। ১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই সময় চলে সরকারি বাহিনীর দমন-পীড়ন ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়। এই সম্মেলনে ঠিক করা হয় প্রতিবছর ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হবে।
গোটা একটা ট্রেনের সমস্ত কর্মীরাই নারী। যা চলেছে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে ভিকারাবাদ, তেলেঙ্গানা পর্যন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ছবি টুইট করেছেন ইউনিয়ন মন্ত্রি পিয়ুষ গোয়াল। তিনি আরো বলেন যে, ‘নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এই রেলওয়ে মহিলাকর্মীরা যাত্রীদের জন্য একটি মসৃণ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করবেন।’
নারীরা হলো অর্ধেক আকাশ। কিন্তু সেই অর্ধেকআকাশ আজ বিপন্ন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা আজ অত্যাচারিত। খবরের কাগজ টিভিতে খবরের চ্যানেল সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই নারী অত্যাচারের নানা ছবি ফুটে ওঠে প্রতিনিয়ত। তাই কোনো একটা দিন বেছে নিয়ে সেদিনকে নারী দিবস পালন করে নারীকে সম্মান দেখানো যেমন একটি সমাজের ভালো দিক তেমনি সারাবছর নারীকে সম্মান জানানো উচিত। ঘটা করে নারী দিবস পালন করা হবে আর বাড়িতে থাকা নারীদের দিনের পর দিন অত্যাচারিত হতে হবে এমন সমাজ বোধহয় কেউ আশা করেন না। বড় হলেই যে নারী অবহেলিত শুধু তাই নয় মাতৃগর্ভে থাকাকালীন কন্যাভ্রূণ হত্যার ঘটনা ঘটেই থাকে। শিশুকন্যারা শিকার হন যৌন লালসার। এসব বন্ধ হওয়া উচিত। তবে নারীর আজ বিদ্রোহিনী। পুরুষদের অত্যাচারে তারা কখনো-সখনো দুর্গার রূপ ধারণ করে ত্রিশূল ধরছেন।