টলিউড জগতে অঙ্কুশ হাজরা এবং ঐন্দ্রিলা সেনের হিট জুটির কথা সবারই জানা আছে। তারা নিজেরাও জানিয়েছেন যে শেষ ১০ বছর ধরে প্রণয়ের সম্পর্কে আবদ্ধ তাঁরা। বর্তমানে দুই তারকা লিভ ইন রিলেশনশিপে রয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বরাবর সক্রিয় থাকেন বাংলা টেলিভিশন জগতের অন্যতম পরিচিত মুখ ঐন্দ্রিলা সেন। তবে কিছুমাস আগে অভিনেত্রীকে একাধিক ট্রোলের শিকার হতে হয় তাঁর শরীরে বাড়তি মেদের জন্য। এমনকি মোটা হাতির তকমাও পেতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু গোটা নেটবাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়ে কিছুদিন আগেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে মেদহীন ছিপছিপে চেহারায় আত্মপ্রকাশ করেছেন ঐন্দ্রিলা। ৭১ থেকে এখন তাঁর ওজন ৫৬ কেজি। তবে এমন ১৫ কেজি ওজন কমাতে কেমন ডায়েট মেনে চলতে হয়? ওজন কমানোর টিপস দিলেন খোদ নায়িকা। জানতে হলে প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, “শরীরচর্চার সাথে খাওয়া-দাওয়াতে লাগাম টানতে হয়েছিল তাঁকে। তবে তিনি কোনো গতানুগতিক ডায়েট মেনে চলেননি। ১৪-১৬ ঘন্টা উপোস না করে, তাঁর শরীরচর্চা প্রশিক্ষক তাঁকে খুব অল্প পরিমাণে ৬ বার খেতে বলেছিলেন। খাবারের তালিকায় ছিল কুসুম ছাড়া দিনে ৬ টি ডিম সেদ্ধ। সকাল, দুপুর এবং রাতে দুটি করে ডিম খেতেন তিনি। লাঞ্চে তিনি সবজির স্যুপ, প্রোটিন শেক বা ফল খেতেন। তারপর অতিরিক্ত খিদে পেলে শসা খেতে। ডিনারের সময় ফের তিনি প্রোটিন শেক খেতেন।” তবে শেষের দিকে অভিনেত্রী দুপুরের দিকে অল্প পরিমাণ ভাত খাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।
তবে অনেকটা ওজন কমিয়ে নেওয়ার পর সম্প্রতি অভিনেত্রী মুক্তি পেয়েছেন কড়া ডায়েট থেকে। বর্তমানে বাড়িতে মায়ের তৈরি খাবার খান তিনি। ইচ্ছে হলে মাছ ও মাংসের ঝোল আর ভাত দিয়ে সেরে নেন মধ্যাহ্নভোজন। কেক, পেস্ট্রি ইত্যাদি খাওয়ার মন হলে ডার্ক চকোলেট খেয়ে নেন তিনি। চিনির বদলে খান গুড় এবং সাধারণ দুধের বদলে কাঠবাদাম দুধ। এছাড়া তিনি এও জানিয়েছেন যে সপ্তাহে একদিন অন্তত তিনি ঝাল ঝাল আলু মাখা এবং টকজল সহিত ফুচকা খান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিজের ওজন কমানো নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেন। তিনি বলেছেন, “ওজন কমিয়ে আমি খুবই খুশি। অনেকেই বলছেন আমার চোখ নাক মুখ বদলে গেছে। আমি নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি। শরীরের মেদ কমলে মুখেরও মেদ কমে। ফলে চোখ নাকের আকৃতির একটু পরিবর্তন হয়। জুন মাস থেকে আমি শরীরচর্চা শুরু করেছিলাম। প্রথমদিকে খুবই কষ্ট হত। মিষ্টি খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলাম। অন্যান্য খাবার খুব কম খেতাম। প্রথম দুই মাসে কোনো ওজন কমেনি। তবে শেষপর্যন্ত ১৫ কেজি ওজন ঝরাতে পেরে, আমি বেশ খুশি।”