বয়স আশি হলেও, খুশির জগতে কিন্তু এখনো সকলের মন জয় করে চলেছে টম এন্ড জেরি

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : একটা সময় টেলিভিশন খুললেই যে কার্টুন জুটি আমাদের নজর কাড়ত তা হলো টম এন্ড জেরি। এদের জুটি বছরের পর বছর ধরে মানুষের মন জয় করে চলেছে। না,…

Avatar

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : একটা সময় টেলিভিশন খুললেই যে কার্টুন জুটি আমাদের নজর কাড়ত তা হলো টম এন্ড জেরি। এদের জুটি বছরের পর বছর ধরে মানুষের মন জয় করে চলেছে। না, কোনরকম রোমান্টিকতা দিয়ে না, শুধুমাত্র বদমাইশির খুনসুটি দিয়ে ইঁদুর আর বিড়াল কেমন ভাবে মানুষের মন জয় করে চলেছে সেটাই আমাদের কাছে একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এই অনুষ্ঠানটির বয়স প্রায় ৮০ বছর, টম এন্ড জেরির পাশাপাশি এখন কার্টুনের জগতে ভীম, ডোরেমন, এছাড়াও নানা আঙ্গিকের কার্টুন এলেও, এই টম এণ্ড জেরি-র জনপ্রিয়তা কিন্তু কোন অংশে এতটুকু কমেনি। কখনো ফ্রেড কুইম্বি তো কখনো চাক জোনসের হাত ধরে একেকবার একেক রূপে অবতীর্ণ হয়েছে অসাধারণ এই দুই মক্কেল। অনবরত বোকা বিড়ালকে চালাক ইঁদুর জব্দ করার চেষ্টা। কখনো বিড়াল কে বোকা বানিয়ে সে ঢুকে যায় তার নিজের গর্তের মধ্যে। এই ইঁদুরের মাথায় আবার সারাক্ষণ চলতে থাকে দুষ্টুমি বুদ্ধি, কি করে এই বোকা বিড়ালটাকে জব্দ করা যায়, আর সরল মনের বিড়ালটাও কালেচক্রে এই দুষ্টু ইঁদুরের ফাঁদে পা দেয়।

বয়স আশি হলেও, খুশির জগতে কিন্তু এখনো সকলের মন জয় করে চলেছে টম এন্ড জেরি

এমনই একটি সুন্দর জনপ্রিয় কার্টুনে কিন্তু কোন রকম কথা বলার প্রয়োজন হয় না। এটি একটি নির্বাক কার্টুন। তাই এই কার্টুনে একটি অসাধারণ ভূমিকা নিয়েছে অতুলনীয় আবহসংগীত। টমের দুঃখের সময় বেজে ওঠে যেখানে করুণ সুর, আবার সেই টমের দুঃখ দেখে যখন জেরি খুব আনন্দ পায় তখন তার ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠে আনন্দের সুর। এই আবহ সঙ্গীতই কাহিনীর সরব কথা হয়ে ওঠে প্রতি পলে পলে।

তবে সব সময় যে বোকা বিড়াল হারে, তাও নয়, তবে বেশিরভাগ সময় বিড়াল বেচারার হারটাই বেশি হয়, তবে জেরিও কিন্তু মাঝে মাঝে বেশ শাস্তি পায়। তা দেখতে খুব একটা মন্দ লাগে না, বেশ ভালো লাগে। তাদের এমনই খুনসুটি দুষ্টুমির গুন তাদের অনেকবার বেস্ট অ্যানিমেটেড শর্টস এর জন্য অস্কার এনে দেয়।

বয়স আশি হলেও, খুশির জগতে কিন্তু এখনো সকলের মন জয় করে চলেছে টম এন্ড জেরি

একঘেয়েমি ক্লান্তিকর এই জীবনে একটু আনন্দের ছোঁয়া পেতে ছোটদের সাথে সাথে বড়রাও এখন কার্টুন দেখেন। টম এন্ড জেরি নির্ভেজাল আনন্দের জন্য আমাদের কিছুক্ষণের জন্য হলেও মনে একটা শান্তির প্রলেপ দেয়। সেইভাবে আমরাও চাই এটি যেন বছরের পর বছর ধরে এমন ভাবে তার জনপ্রিয়তাকে অক্ষুন্ন রেখে প্রত‍্যেককে আনন্দ দেওয়ার ধারা যেন অব‍্যাহত রাখে, এই দীর্ঘায়ু কামনা করি।