কলকাতা: আগামিকাল, মঙ্গলবার (Tuesday) রাজ্যে পৌঁছচ্ছে করোনার (Corona) ভ্যাকসিন (Vaccine)। প্রথম দফায় আসতে চলেছে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ ভ্যাকসিন’। এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক। এদিন বিশেষ বিমানে রাজ্যে পৌঁছবে করোনার ভ্যাকসিন। তারপর ৪টি গাড়িতে করে তা নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারে কেন্দ্রীয় পরিবার কল্যাণ সংরক্ষণাগারে। জানা গেছে বাগবাজারের ওই ভ্যাকসিন সংরক্ষণাগারে ৫টি ওয়াক – ইন – কুলার এবং ৪টি ওয়াক – ইন – ফ্রিজার রাখা হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওই আধিকারিক জানান, ‘ভ্যাকসিন রাজ্যে পৌঁছনোর পর খুব বেশি হলে বুধবার তা জেলায় জেলায় সরবরাহের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে জেলায় সরবরাহের আগে ব্যাচ নম্বর সহ অন্যান্য বিবরণ নথিভুক্ত করা হবে।’ ওই আধিকারিক আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে দেশব্যাপী ভ্যাকসিন অভিযান শুরু হবে আগামী ১৬ তারিখ। যাঁরা প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন তাঁদের মধ্যে থাকবেন ফ্রন্টলাইন কর্মীরা।’ প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই দেশে চালানো হয়েছে ভ্যাকসিন অভিযানের ড্রাই রান। তাতে বাদ যায়নি বাংলাও।
অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। ভ্যাকসিনে যাবতীয় সতর্কতা নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “যে ২টি ভ্যাকসিনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে দুটিই মেড ইন ইন্ডিয়া। ভবিষ্যতে আরও ভ্যাকসিন এলে নতুন করে পরিকল্পনা করা হবে। তবে আপাতত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা প্রথম দফার টিকাকরণে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস যোদ্ধাদেরই প্রদান করা হবে। সেই তালিকায় থাকবেন না জনপ্রতিনিধিরা।” মোদী বলেন, “প্রথম পর্যায়ে প্রায় তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথমসারির করোনা ভাইরাস যোদ্ধাদের টিকা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং ৫০-এর কম বয়সি কো-মর্বিডিটি রোগীদের টিকা দেওয়া হবে।” এক্ষেত্রে প্রধামন্ত্রীর নির্দেশ, “টিকাকরণের তথ্য সঠিক ভাবে আপলোড করতে হবে। ভারত যা করছে আগামিদনে অনেক দেশ তা অনুসরণ করবে।”