মিষ্টিপ্রেমী বাঙালির নানান রকম মিষ্টি যেমন খুব প্রিয় তেমন জি বাংলায় রাত ৮টায় সৌমিতৃষা থুরি মিঠাই নিজের হাতে মনোহারা নিয়ে হাজির হয়ে যায় টেলিভিশনের ওপারে তাও বাঙালির কাছে পছন্দের। টানা কয়েক সপ্তাহ জুড়ে দর্শকদের বিচারে সেরার স্থানে রয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক মিঠাই। হবে নাই বা কেন উচ্ছে বাবু আএ মিঠাইয়ের টক ঝাল মিষ্টি প্রেম কাহিনি যে জমে উঠেছে। মিঠাই যতটা মিষ্টি ও প্রাণখোলা মেজাজের, ততটাই গম্ভীর প্রকৃতির ছেলে মিঠাইয়ের স্বামী সিদ্ধার্থ ওরফে সিড।
তবে নিপার বিয়েতে কি সত্যি সত্যি সিড মিঠাইকে ভালোবেসে ফেলবে? এই নিয়ে উদ্বেগ সকলের। এর মাঝেই মিঠাইয়ের জীবনে এন্ট্রি নিতে চলেছে তোর্সা।
তোর্সার এক্কেবারে চক্ষুশূল মিঠাই। সিডের ছোটবেলার প্রিয় বান্ধবী হল তোর্সা। সে নিজে সিডের প্রেমে পড়লেও সিড সবসময় তাকে নিজের বন্ধু হিসাবেই দেখে। আর তোর্সা মিঠাই আর সিডের বিয়ে কোনো ভাবে মানতে পারছেনা। আর সেই সমস্ত রাগটা মিঠাইয়ের উপর গিয়েই পড়ে। তবে মাঝখানে তোর্সা ওরফে তণ্বী লাহা রায় করোনা পজিটিভ হওয়াতে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছিলনা।
তবে অভিনেত্রী করোনাকে হারিয়ে পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বাড়িতে ডাক্তারের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে ছিলেন। বাড়িতে থাকার সময় বাড়ি থেকেও ধারাবাহিকের জন্য ফোনেও শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সুস্থ হয়েই ফের বুধবার থেকে মিঠাইয়ের সেটে ফিরে এসেছেন তোর্সা। এখন অভিনেত্রীর শরীর আর আগের মত দুর্বল নেই, তিনি ফিট আর ফাইন। অসুস্থ থাকাকালীন একটি ফোন স্ট্যান্ডে রেখে আর একটি ফোন দিয়ে শ্যুট করেছিলেন।
এই আইসোলেশন পর্বে নিজের পরিজনকে ছেড়ে থাকা সত্যি খুব কষ্টের ছিল। সকল প্রিয়জনদের সাথে সেই সময় ফোনে যোগাযোগ রেখেছিলেন। সুস্থ হয়ে সেটে ফিরতে পেরে বেশ আনন্দিত অভিনেত্রী। সেটে ফিরেই তোর্সার সাজে ছবি তুলে পোস্ট করলেন আর সকল অনুরাগীদের মাস্ক পড়ার জন্য অনুরোধ করলেন।
তিনি এক সংবাদমাধ্যমে জানান, মিঠাই’-এর সেটে করোনা স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনেই শুটিং এর কাজ হচ্ছে। সরকার দ্বারা করোনার নতুন নিয়ম অনুযায়ী খুব কম শিল্পী নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আর এখন ঘড়িতে সন্ধ্যে আটটা বাজলেই প্যাক আপ হচ্ছে। খাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে আর প্রত্যেকের সেটে ঢোকার সময় তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে। আর শ্যুটিং ফ্লোরে মাস্ক পড়েই কাজ হচ্ছে শুধু শটের সময় মাস্ক খোলা হচ্ছে। তাহলে মিঠাই ধারাবাহিকে তোর্সা এসে কি কি করে এখন সেটাই দেখার।