ফের উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। এদিন ভারতীয় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মূল চক্রী জইশ ই মহম্মদের সদস্য ইদ্রিস ওরফে ফৌজিভাই। এদিন পুলওয়ামা জেলার কঙ্গন এলাকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে জঙ্গিদের। যার ফলে খতম হয় জইশ ই মহম্মদের তিনজন জঙ্গি। সেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, কঙ্গন এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপনের খবর পেয়ে হানা দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর জঙ্গিদের আস্তানা ঘিরে ফেলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফের ১৮৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন ও ভারতীয় সেনার ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের সাহায্যে তল্লাশি চালু হয়।
এরপর সেনাবাহিনী ও জঙ্গির গুলির লড়াই শুরু হয়। সেনার গুলির লড়াইয়ে খতম হয় তিনজন জঙ্গি। যার মধ্যে অন্যতম হায়দার ওরফে ইদ্রিস। এবং জাহিদ মনজুর ওয়ানি ও মনজুর আহমেদ করকে খতম করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহেই কাশ্মীরে একটি গাড়ি বোঝাই বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। যার ফলে এরপর থেকে ইদ্রিস ওরফে ফৌজিভাইয়ের তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। একটি বিস্ফোরক তথ্য হল, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় যে ৪০ জন জওয়ান বিরাট বিস্ফোরণে প্রাণ হারান সেই পুরো ছকটি কষেছিল জইশ ই মহম্মদের ফৌজিভাই।
ফৌজিভাই নামক জঙ্গির উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় ‘লম্বু’ নামেও পরিচিত ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জইশ ই মহম্মদের অন্যান্য নেতা জঙ্গিদের মতই ফৌজিভাই কোনোদিন মোবাইল ব্যবহার করেনি। তার বদলে কয়েকজন বিশ্বস্ত সঙ্গীর মাধ্যমে কথাবার্তা আদান প্রদানের কাজ চালাত। এমনকি ইন্টারনেটও ব্যবহার করত না ফৌজিভাই। এছাড়া এই জঙ্গি আইইডি বানাতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতো যার জন্য তাকে ২০১৮ সালের গরমে ভারতের নিয়ন্ত্রণরেখায়পাঠায় জইশ ই মহম্মদের প্রধান।