আবার পুলিশ-প্রশাসনের কথা না মেনে বড়োসড়ো দুর্ঘটনা দীঘায়। গত তিনদিন ধরে মাইকিং করা হচ্ছিল যাতে কোনো পর্যটক সমুদ্রে না নামে। কিন্তু পুলিশি নিষেধাজ্ঞাকে না মেনে সমুদ্রে নেমে তালিয়ে যায় দুজন পর্যটক। রবিবার সকালে দুজনের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
সুত্রে খবর, শুক্রবার রাতে দক্ষিন ২৪ পরগনার পাটুলি থানার বাঘাযতীনের আটজন যুবক দীঘায় বেড়াতে যায়। রবিবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় সকল যুবক সমুদ্রে নামে। তাদের মধ্যে সঞ্জয় নস্কর নামে একজন সমুদ্রে তলিয়ে যায়। সকল মদ্যপ অবস্থায় থাকার ফলে বিষয়টির দিকে কেউ নজর দেয়নি। তারপর সঞ্জয়কে ভেসে থাকতে থেকে অন্যরা তাকে সমুদ্র থেকে তুলে এনে হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : চাঞ্চল্য সৃষ্টি রানাঘাট শাখায়, রেললাইন থেকে উদ্ধার দুই যমজ পুত্রসন্তানের দেহ
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের ৫ জন যুবক দীঘায় বেড়াতে আসে। রবিবার দীঘার ক্ষনিকা ঘাটে স্নান করতে নাম। হঠাৎ ইন্দ্রনীল নামক এক যুবক সমুদ্রে ডুবে যায়। নুলিয়া ও পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তার প্রানরক্ষা হয়নি।
গত তিনদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য দীঘায় সমস্ত পর্যটকদ সহ মৎসজীবিদের সমুদ্রে নামার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। পুলিস বারবার উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং করে সতর্ক করলেও শোনেনি পর্যটকেরা যার ফলেই ঘটল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।