নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার করোনা টিকা দেওয়ার জন্য দিল্লিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করল। ভারতের বাজারে করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আসার পর যে সকল স্বাস্থ্যকর্মী সাধারণ মানুষকে এই টিকা দেবেন তারই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করল দিল্লি সরকার।
এই কাজের জন্য সরকার এর তরফ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হবে। এই কাজের জন্য কর্মীদের চার ভাগে ভাগ করা হবে। মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের তিন জন চিকিৎসককে নির্ধারণ করা হয়েছে ভ্যাকসিন অফিসার হিসাবে। এনারা হবেন প্রথম পর্যায়ের অফিসার, এদের তত্ত্বাবধানে থাকবে দ্বিতীয় পর্যায়ের অফিসার, তাদের তত্ত্বাবধানে তৃতীয় পর্যায়ের অফিসার এবং তাদের তত্ত্বাবধানে সবশেষে থকবেন চতুর্থ পর্যায়ের অফিসার। এনাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা কাজ ভাগ করে দেওয়া হবে।
একজন প্রথম পর্যায়ের অফিসার টিকা দিয়ে সমস্ত তথ্য যাচাই করবেন। নথিপত্র দেখার সমস্ত কাজ করবেন দ্বিতীয় পর্যায়ের অফিসার। তৃতীয় পর্যায়ের অফিসারের কাজ ভির নিয়ন্ত্রণ করা এবং চতুর্থ পর্যায়ের অফিসার টিকা দেওয়ার পর আক্রান্ত ব্যক্তির দিকে আদ ঘণ্টা নজর রাখবেন, রোগীর শরীরে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বা আদৌ কোনও প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য।
এই স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হওয়ার পর জেলাস্তরে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন এমন কোথাও জানা যায় মৌলানা আজাদ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি হেড চিকিৎসকের কাছ থেকে। দিল্লীতে মোট কোল্ড চেনের সংখ্যা ৬০৯ টি। এগুলির ওপর ভিত্তি করেই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হবে। এই কাজের জন্য অনেক মানুষের প্রয়োজন হবে। কেন্দ্রীয় স্তরে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ্য এবং দিল্লীতে সাড়ে তিন হাজার লোকের প্রয়োজন হবে,এখনও পর্যন্ত এমনটাই জানা গিয়েছে।