নয়াদিল্লি: দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অযোধ্যা ইস্যুতে তোলপাড় ছিল গোটা দেশ। কিন্তু গত বছরে নিষ্পত্তি ঘটে এই অযোধ্যা ইস্যুর। একই জায়গায় মন্দির ও মসজিদ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। সেই মতো লকডাউন চলাকালীন অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরীর জন্য ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠান আয়োজিত করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নিচে মিলেছে সরযু নদীর ধারা। আর তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না অযোধ্যার ট্রাস্টি বোর্ড। তাই মন্দিরের কাঠামো যাতে মজবুত হয়, সেই জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা আইআইটির কাছে নতুন নকশা চেয়েছে ট্রাস্টি বোর্ড।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র। তিনি এই নিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় বসেছিলেন এবং রাম মন্দিরের ভিতের নিচে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ায় আইআইটির দেওয়া বর্তমান নকশা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পরিকাঠামো ততটাও মজবুত হবে না এই নকশা মেনে মন্দির নির্মাণ করলে, এমনটাই মনে করছে ট্রাস্টি বোর্ড। আর তাই নতুন নকশা দেওয়ার জন্য আইআইটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। যদিও আইআইটির পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।
মন্দিরের পরিকাঠামো যাতে মজবুত হয়, তার জন্য ট্রাস্টি বোর্ড দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা করতে চায়। একটি হল, মন্দিরের কলামগুলি ভাইব্রো পাথর দিয়ে তৈরি করা। অথবা মাটির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য মাটির সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী মিলিয়ে দেওয়া। যদিও চূড়ান্ত হয়নি যে, এর মধ্যে কোন পথটি বেছে নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। এখন মন্দিরের ভিতের নিচে সরযু নদীর ধারার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার ফলে নির্মাণ কাজ কীভাবে এগোয়, সেটাই দেখার।