শ্রেয়া চ্যাটার্জী : সারা বিশ্ব যখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং,আমাজন, অস্ট্রেলিয়ার বনাঞ্চলের দাবানলে ক্ষতবিক্ষত তখন রাজস্থানের কৃপালান্তি গ্রামে একজন কন্যা সন্তান জন্মালে তার পরিবর্তে লাগানো হয় ১১০ টি গাছ।
ভারতবর্ষের এখন বহু জায়গাতেই কন্যা সন্তানকে শুভ বলে মানা হয় না, কিন্তু ওই খটখটে মরুভূমির ওই রকম একটি গ্রামের মানুষগুলো কেমন পুরো বিশ্বকে সবুজ সতেজ করে তোলার জন্য একটা চেষ্টা করে চলেছেন। সত্যি ভাবলে অবাক হতে হয়।
যে কন্যা সন্তানটি জন্মালো তার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই, এই গাছগুলি লাগানো হয়। তবে এমন সুন্দর ভাবনাটি কার মাথায় এলো? তার কথাতো একটু জানতে হয়। শ্যামসুন্দর পালিওয়াল তার নাম। বহুদিন আগে তিনি তার কন্যাকে হারান এবং মনের সেই দুঃখকে মেটানোর জন্য তিনি এমন এক সুন্দর প্রথা চালু করেন।
ছয় বছরে প্রায় দু লক্ষ পঞ্চাশ হাজার গাছ এখানে লাগানো হয়েছে। তবে গাছগুলি শুধু লাগানো হওয়াই নয়, সেগুলিকে যত্ন করাও হয়। কন্যা সন্তান জন্মানোর পর একটি চুক্তি দ্বারা আবদ্ধ হন, তাদের এই চুক্তিতে লেখা থাকে যে গাছগুলি লাগানোর পরে এই গাছগুলির যত্নের দায়িত্ব তাদের এবং তারা মোট ৩১ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রেখে দিতে পারেন তাদের কন্যা সন্তানের নামে।
গাছগুলি যাতে সদাসতেজ এবং ভালো থাকে তার জন্য প্রত্যেকটি গাছের গোড়ায় লাগানো হয় অ্যালোভেরা গাছ। গাছগুলি মূলত ফলের গাছ হয় এবং সেই গাছ থেকে উৎপন্ন ফল তারা বাইরে বিক্রি করে আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পেরেছেন।