আগামীকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গের করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর সদর এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। উপনির্বাচন কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের সংঘাত তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তীব্র আক্রমণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
উপনির্বাচনের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের হাতে দিতে নারাজ নির্বাচন কমিশন এবং গত লোকসভা নির্বাচন থেকে এই কারণে দন্দ্ব হয়ে আসছিল। তাই এই তিনটি কেন্দ্রে পাঁচটি করে মোট ১৫ টি কোম্পানী বাহিনী এবং পরে করিমপুরে আরও ১০ বাহিনী বেশি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তীব্রভাবে অভিযোগ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া জঙ্গলমহল থেকে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন সিদ্ধান্ত নিলে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সিআরপিএফ থাকতে আবার পাঁচ ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে কেন? এটা অন্যায়।” বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এর পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, “ভোটে হারার ভয় থেকে এইসব বলছে তৃণমূল তাই এটি খুব হাস্যকর ব্যাপার।”তবে রাজ্য সরকার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে।
উপনির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ।করিমপুরের প্রাক্তন বিধায়ক মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগরের সংসদ হওয়ায় এই কেন্দ্রে আসনটি ফাঁকা। তাছাড়া এই কেন্দ্রে তৃণমূল শক্তিশালী তাই এই কেন্দ্র নজরে রয়েছে তৃণমূলের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের প্রয়ানের কারণে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে তাই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস।
এছাড়া খড়গপুর কেন্দ্রে বিধায়ক বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি থাকায় সেই ফাঁকা আসনে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে মরিয়া বিজেপি।কালিয়াগঞ্জ,করিমপুর এবং খড়গপুর সদরে বুথের সংখ্যা যথাক্রমে ২৭০,২৬১ এবং ২৭০ টি ।