দিল্লি নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে দেশের ইতিহাস টেনে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদের উভয় কক্ষেই ভাষণ দিতে গিয়ে টেনে আনলেন পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের। বাদ দিলেন জওহরলাল নেহেরুকেও। দেশভাগ, জরুরি অবস্থা, শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। জওহরলাল নেহেরু, ইন্দিরা গান্ধী থেকে মহমোহন সিংহ বাদ গেলেন না কেউই।
কটাক্ষের সুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কেউ দেশভাগ পর্যন্ত করেছিলেন। দেশের মাঝখানে লাইন টেনেছিলেন। তার ফল ভোগ হিন্দু শরণার্থীদের। দেশভাগের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে হিন্দুদের।’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নেহরুর লেখা একটি চিঠির কিছুটা অংশ পাঠ করেন তিনি। যেখানে লেখা ছিল, ‘হিন্দু শরণার্থী ও মুসলমান অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে হবে। নির্যাতনের শিকার হয়ে যারা ভারতে আসছেন তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন করতে হবে।’
আরও পড়ুন : লড়াই শুরু, পুরভোট জিততে বাংলায় বিজেপির ভরসা মুকুল-ই
এরপরই প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীরে অশান্তি চলে আসছিল। আমরা এসে সব শান্ত করেছি। কাশ্মীরে আর সন্ত্রাস নেই। সারা দেশ আজ সন্ত্রাস মুক্ত।’ একইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সারা দেশ আজ এক নতুন ভারত দেখছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণকে ‘রূপকথার গল্প’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কোন কাজের কথা শুনলাম না। যেন রূপকথার গল্প বলে গেলেন। বাস্তবের সঙ্গে কোন মিল নেই যার।’